সেনা-সমর্থিত সংস্কারপন্থী কর্তৃক কাপ্তাইয়ে ১ জনকে হত্যা, রাজভিলায় ১ জনকে মারধর

0
1213

হিল ভয়েস, ৮ জুন ২০২০, বান্দরবান:  রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনী ও সেনা-মদদপুষ্ট সংস্কারপন্থীদের গুলিতে একজনকে হত্যা এবং বান্দরবানের রাজভিলায় আরেকজনকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, আজ ৮ জুন ২০২০ সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে আটার দিকে পদ্ম কুমার চাকমা ওরফে প্রিমেক্স (৪০) নামে একজনকে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বাজ্যাতুলী গ্রামে সংস্কারপন্থী ও সেনাবাহিনীর যৌথবাহিনী কর্তৃক গুলি করে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেল।

অপরদিকে গত ৬ জুন ২০২০ শনিবার দুপুর ১২টার সময় বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের গলাচিপা চাকমা পাড়ায় সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাড়ার রনজিৎ চাকমা (৫০), পিতা- মৃত সুদেব চাকমা নামে এক নিরীহ ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যা, মালেক বম, আপন চাকমাসহ ১৬ জনের একদল সশস্ত্র সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসী গলাচিপা চাকমা পাড়ায় হানা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা রণজিৎ চাকমাকে অকারণে মারধর করে। সন্ত্রাসীরা রনজিত চাকমাকে লাথি মারে এবং কয়েক ঘন্টা বেঁধে রাখে।

গত ৩১ মে ২০২০ সেনাবাহিনী স্কর্ট দিয়ে বিধু চাকমার নেতৃত্বে সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এর একদল সশন্ত্র সদস্যকে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের বাঘমারায় নিয়ে আসার পর বাঘামারা বাজারের রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে অস্ত্র-গোলাবারূদ নিয়ে অবস্থান করছে।

বাঘমারা সেনা ক্যাম্প থেকে রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি মাত্র ২০০ গজ দূরত্বে অবস্থিত। তা সত্ত্বেও সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সদস্যরা কীভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ অবস্থান করতে পারে তা নিয়ে জনমনে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এরপর থেকে সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীরা বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও রাজভিলা ইউনিয়ন এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার নয়াপতং ইউনিয়ন ও আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার, জামছড়ি, উজি পাড়া, গলাচিপা, কুলুক্ষ্যং, নাচালং পাড়া, যোগেশচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং এলাকাবাসীর উপর নানা ধরনের হয়রানি, হুমকি, চাঁদা দাবি করছে।

সেনা ও গোয়েন্দাবাহিনীর মদদপুষ্ট এই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার নিরীহ গ্রামবাসীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ঘোরাফেরা, লোকজনকে হয়রানি ও চাঁদা দাবি করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।