মাটিরাঙ্গায় বিজিবি কর্তৃক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণে বাধা!

0
2162

হিল ভয়েস, ১৫ মে ২০২০, খাগড়াছড়িখাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী স্থানীয় আদিবাসী জুম্ম গ্রামবাসীরা একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করার সময় বিজিবি সদস্যরা বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজিবি সদস্যদের হুমকিতে গ্রামবাসীরা বিহার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের অভ্যা মৌজার জুম্ম অধ্যুষিত ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে ২০২০ গ্রামবাসীরা বৌদ্ধ বিহারের জায়গা পরিষ্কার করার সময় সেখানে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী রামগড় উপজেলার রামগড় লাচারিপাড়া ক্যাম্প থেকে একদল বিজিবি সদস্য উপস্থিত হয়। এসময় বিজিবি সদস্যরা গ্রামবাসীদের নিকট বিহার নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামবাসীরা এবিষয়ে সবকিছু অবহিত করেন।

কিন্তু গ্রামবাসীরা সবকিছু জানানোর পরও বিজিবি সদস্যরা নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা কার অনুমতি নিয়ে এই বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানতে চান। এরপর যেহেতু বিহারটি নির্মাণে বিজিবি’র অনুমতি নেয়া হয়নি, তাই আজ থেকে বিহার নির্মাণের কাজ বন্ধ বলে ঘোষণা করেন বিজিবি সদস্যরা।

পাহাড়ি সুভাষ চাকমা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়-মাটিরাঙ্গা সীমান্তবর্তী মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন অভ্যা মৌজায় ৯ নং ওয়ার্ড গ্রামবাসীদের উদ্যোগে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণকালে বিজিবি সদস্যদের বাধা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।’

পাহাড়ি সুভাষ চাকমা তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘আজ ১৫ মে ২০২০ গ্রামবাসীরা মৌজার হেডম্যান থেকে অনুমতি নিয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কাজ করতে গেলে বিজিবি সদস্যরা সেখানে অতর্কিতভাবে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীদের হামলা করে। একপর্যায়ে গ্রামবাসীরা কেন বন্দুক তাক করে হামলা করতে এসেছেন প্রশ্ন করলে উল্টো গ্রামবাসীদের উপর ক্ষেপে যায় বিজিবি সদস্যরা। তারপর বিভিন্ন হুমকিধামকি দিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করে বিজিবি সদস্যরা।’

পাহাড়ি সুভাষ চাকমা আরও উল্লেখ করেন, ‘বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও স্বধর্ম রক্ষার্থে উক্ত গ্রামের স্থানীয় এক গ্রামবাসী নিজের ভোগদখলী জায়গা ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন কয়েক মাস আগে। তারপর থেকে দানকৃত জায়গার উপর গ্রামবাসীরা একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’