সাম্প্রদায়িক শক্তি পা: চ: নাগরিক পরিষদ শাসকগোষ্ঠীর নীলনকশার নতুন নাটক

0
1224
ছবি: পা:চ: নাগরিক পরিষদ কর্তৃক খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশনের অফিস ঘেরাও

              নিপন ত্রিপুরা             

পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী যড়যন্ত্র আজই নতুন কি?  সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পরও পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের উপর রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অন্ত নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আগেও বহু সেটেলারদের সাম্প্রদায়িক সংগঠন রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় গড়ে উঠেছিল। যেমন মুখোশ বাহিনী, পার্বত্য গণপরিষদ, সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদসহ অনেক ভূঁইফোড় সংগঠন। এদের বিরুদ্ধে তো জুম্ম জনগণের লড়াই ছিল, প্রতিরোধ ছিল। বরাবরই জুম্ম জনগণ এ লড়াইয়ে জয়লাভ করেছে। রাষ্ট্রীয় মদদে মিথ্যা বেসাতির উপর গঠিত কিন্তু এসব সংগঠন সময়ের পরিক্রমায় ধারাবাহিকতা অর্জন করতে পারেনি। যখন তাদের মদদ পাওয়া সংগঠন দুর্বল হয়ে যায় তখনি তারা আবার নতুন সংগঠনের জন্ম দেয়। গত বছর (২০১৯ সালের ডিসেম্বরে) শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্টপোষকতায় পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন ইত্যাদি সংগঠনগুলোকে বিলুপ্ত করে গঠিত হয় তথাকথিত মুক্তিযদ্ধের চেতনাধারী সেটেলারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, যা জুম্ম জনগণের বিরুদ্ধে গভীর রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অংশ।

গত ২৯ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে এই সাম্প্রদায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ। কিন্তু তাদের কথাবার্তায় তো সাম্প্রদায়িকতার ভরপুর। তবুও মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী চেলাদের ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, তাদের কারোরই জন্ম পার্বত্য চটগ্রামে নয়। তারা সবাই আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সেটেলার। এ সংগঠন আগাগোড়া একটা সেটেলারি সংগঠন মাত্র। যাদের কাজ শাসকগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।

সংগঠনটির বড় চেলা ইঞ্জিনিয়ার আল আক্কাস মাহমুদের জন্মস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামে না। তিনি কোন মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেননি। মহাসচিব আলমগীর কবির সাবেক বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র। মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে অর্থ আত্মসাত, নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে মামলা খেয়েছেন। তার সবচেয়ে বড় আলোড়িত বিষয় হচ্ছে রাংগামাটি আসনের সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদারের কাছে চাঁদা দাবি করা এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাও হয়েছিল। তিনিও কাগজে-কলমে মুক্তিযোদ্ধা না।

সহ সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। নানা ধরনের আর্থিক, ভূমি বেদখল, নারী ঘটিত অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ তাকে বহিষ্কার করে। আরেক চেলা আবুল কালাম আজাদ আলিকদম উপজেলা চেয়ারম্যান সম্পর্কে তো ভূড়ি ভূড়ি নানা ধরনের কেলেংকারীর ঘটনার সাক্ষী আছে। ম্রো, চাক আদিবাসীদের ভূমি বেদখল, গত বছর সংবর্ধনা নিতে গিয়ে ম্রো বিধবাকে জড়িয়ে ধরা, মায়ানমারের বিছিন্নতাবাদী সংগঠন ও স্বাধীনতা সাবভৌমত্ব বিরোধী কার্যকলাপের জন্য গত ২০১৮ সালে ডিবি পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসঙ্গে

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত গোলাম মোহম্মদ কাদেরের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাস্তবতা’ প্রবন্ধে বলেছেন, “আজকাল দু’টি শব্দ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। কথার ফাঁকে যেকোনো প্রসঙ্গে এই শব্দগুলোর উল্লেখ প্রায়ই শোনা যায়। দুঃখের বিষয় হলো, অনেককে দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে ঠিক এর বিপরীত কাজ করে যাচ্ছেন।” রাষ্ট্রীয় আশির্বাদ-পুষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।

গোলাম মোহম্মদ কাদের তাঁর প্রবন্ধে আরো লিখেছেন, “যেসব কারণে বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েছিল এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে, সেগুলোকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলা যায়। সেখানে প্রথমত আসে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করা। নিজের ভাষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ আলাদা পরিচয় বাঁচিয়ে রাখা।” বস্তুত মুক্তিযুদ্ধ চেতনার অর্থ যেমনি ‘নিজের ভাষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ আলাদা পরিচয় বাঁচিয়ে রাখা’র চেতনা, তেমনি অপরাপর জাতিসমূহের ‘ভাষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ আলাদা পরিচয়’-এর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং রক্ষায় নৈতিক সমর্থন প্রদান করা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জুম্ম জনগণের প্রতি ‘ভাষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ আলাদা পরিচয়’-এর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ আছে বলে বিবেচিত হয়না।

পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর জাতিগত নিপীড়ন, বৈষম্য, আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সমঅধিকার ও সমমর্যাদাসম্পন্ন, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ ও শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক দাবি করে যদি জুম্ম জাতির উপর জাতিগত নিপীড়ন, আগ্রাসন এবং জুম্ম জাতির স্বতন্ত্র পরিচয় ও অস্তিত্ব ধ্বংসের পাঁয়তারা চালানো হয়, তাহলে এটা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলা যায়? সরকারের তথা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা লাভের জন্যই এসব সাম্প্রদায়িক ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ও চেতনাকে কাজে লাগাতে এভাবে মুক্তিযুদ্ধের অনুসারী হিসেবে সাজতে ছলনার আশ্রয় নিয়েছে, তা নি:সন্দেহে বলা যেতে পারে।

তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী হতো তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিপন্থী ও জুম্ম স্বার্থ বিরোধী কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হতো না। গত বছর ডিসেম্বরে গঠিত হতে না হতেই ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসর প্রাপ্তবিচারপতি আনোয়ার-উল হক ও কমিশনের জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, রাজা দেবাশীষ রায়সহ ভূমি কমিশনের অনুষ্ঠিত সভা অবরোধ করতো না। অনুরূপভাবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বান্দরবানে প্রায় আধা ঘন্টা যাবৎ ভূমি কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবরোধ করে রাখতো না। এসব অবরোধের সময় তারা ভূমি কমিশন চেয়ারম্যান-সদস্য, ভূমি কমিশন আইন ও বিধিমালার বিরুদ্ধে শ্লোগান, উস্কানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করতো না।

কেননা একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী ব্যক্তি কখনোই অন্য কোন অধিকারকামী জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের বিরোধিতা করতে পারে না, কখনোই অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার সনদ ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে বিরোধিতা করতে কিংবা ভূমি কমিশনের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। বস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামক এই উগ্র জাতীয়তবাদী, উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সংগঠনের মূল কাজ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, জুম্ম জনগণের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে জুম্মদের জায়গা-জমি জবরদখল করা, জুম্ম জনগণকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা, সর্বোপরি অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করার পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর অসমাপ্ত করা সমাপ্ত করা।

সুতরাং মেকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেটেলারী এ চক্রের কেউই মুক্তিযোদ্ধা না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হলে তারা প্রকাশ্য সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াত না। কারোর মদদে চলত না। সর্বদা ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াই করত। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলত। সেটেলার কর্তৃক জুম্মদের ভূমি বেদখল, জুম্ম নারী ধর্ষণ, অপহরণ হত্যা এসব নিয়ে সোচ্চার থাকত। কাজেই এদের থেকে সাবধান।

সন্তু লারমাকে অপসারণসহ জেএসএস ও ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবির প্রসঙ্গে

জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা সম্পর্কে এ সেটেলারী অংশটি রাষ্ট্রীয় মদদ পেয়ে নানা সময়ে মাথাচারা দিয়ে উঠে। তিনি বিদেশে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো এবং দেশের মধ্যেও তাঁর নামে কুৎসা রটানোই হল তাদের মূখ্য কাজ। তার বিরুদ্ধে যেন নানামুখী চক্রান্তের শেষ নেই। বলা যায় সেটেলাররা এখন পাহাড়ে শাসকগোষ্ঠীর ভাড়াটে এজেন্ট। এ সেটেলারদের জানা থাকা দরকার শ্রী লারমা উড়ে এসে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়াম্যানের পদ দখল করেননি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে একটা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে তিনি আঞ্চলিক পরিষদের চেয়াম্যান পদে আসীন হয়েছেন। সে সময়ের বাঙালিরাও তাকে সাধুবাদ জানিয়ে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেছিলেন। তাঁর ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে জানা উচিত শ্রদ্ধেয় লারমা একজন সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাচ্চা অনুসারী। তিনি কেবল জুম্ম জনগণের অধিকারের কথা বলেন না, তিনি এদেশের খেটে-খাওয়া মেহনতি ও স্বল্প আয়ের আদিবাসী-সংখ্যালঘু-বাঙালি জনগোষ্ঠীসহ বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকারের জন্য সর্বদা সোচ্চার।

বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের জন্য দিঘীনালা থানায় তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হয়েছিল। তিনি সেটেলারদের প্রমাণ দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নে আমার গত বছরের ২ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনের কথা মনে পড়ে। তখন এক শ্রেণির সাংবাদিক একই প্রশ্ন শ্রদ্ধেয় লিডারকে করেছিলেন। পারলে সংবাদ সম্মেলন ভন্ডুলও করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে সাধ্য তাদের ছিলনা বলে সম্ভব হয়নি। তাঁর আইডি কার্ড আছে কি নাই, তিনি দেশের মানুষ না বিদেশের মানুষ সেটা তো সরকারি নথিপত্রে রেকর্ড আছে। দয়া করে সেখানে ঘেটে দেখুন।

সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করবে না এ কথাটা এখন পাহাড়ে শিশুটিও বিশ্বাস করে। আজ করব, কাল করব তো কেবলই কালক্ষেপণের অংশ মাত্র। সেজন্য পাহাড়ের জুম্মরা এখন বিভেদ ও দৌদুল্যমানতা পরিহার করে সঠিক পথ ও নেতৃত্বে বিশ্বাসী হয়ে নতুন করে লড়াইয়ে পথে হাঁটতে চায়। এতেই রাষ্ট্রের যত মাথা ব্যাথা। সরকার ও রাষ্ট্র চায় না পাহাড়ের জুম্মরা অধিকারের জন্য লড়াই করুন, ঐক্য ও সংহতি দৃঢ় হোক তাদের মধ্যে। সেজন্য কৌশলে তারা এখন একটা অংশকে ব্যবহার করছে। তারা চায় না জুম্মরা ভূমি অধিকার নিয়ে কথা বলুক। সেটেলার কর্তৃক জুম্ম নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলুক। ন্যায় বিচার চেয়ে কথা বলুক। সামরিকীকরণ ও ইসালামীকীকরণের বিরুদ্ধে কথা বলুক।

এজন্য বিশাল একটা নীলনকশার প্যাকেজ নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। সে প্যাজকের একটি প্রকল্প হল পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। তারা জাতিতে জাতিতে বিভেদ করে দিতে বদ্ধপরিকর, একে অপরের মাঝে বিদ্বেষ ছড়ানোতে পাকা। সুতরাং আমাদের পাহাড়ি-বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী অধিবাসীদেরকে এসবের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, ব্যক্তি বিশেষের জন্য সামগ্রিকতাকে দোষ দেয়া যাবে না। কেউ যেন আমাদের মধ্যকার আবহমানকাল ধরে চলে আসা সম্প্রীতিকে ফাটল ধরাতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার সকলেই। তার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হাওয়া দরকার।