লাকিংমে চাকমার মরদেহ বাবা-মার কাছে হস্তান্তর ও ঘটনার পুন:তদন্তের দাবিতে ২৩টি সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

0
837
ছবি : লাকিংমে চাকমা

হিল ভয়েস, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকা লাকিংমে চাকমার মরদেহ তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের দাবিতে ২৩টি মানবাধিকার সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।

আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ উক্ত ২৩টি সংগঠনের পক্ষে বার্তাপ্রেরক আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, দশদিন ধরে লাকিংমে চাকমা নামে একটি ১৪ বছরের কিশোরীর মরদেহ বাবা-মার কাছে হস্তান্তর না করে অমীমাংসিত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নাবালিকা কিশোরীর ধর্মান্তরিত হওয়ার একক সিদ্ধান্ত আইনত অপরাধ এবং স্বেচ্ছায় বিবাহ বাল্যবিবাহের আওতায় পরে যা আইনত দন্ডনীয়।

ঘটনাটির তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অতি সত্বর কিশোরীটির বাবা-মার কাছে মরদেহ হস্তান্তর, মামলাটিকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় এনে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অপহরণ ও হত্যা মামলার পুন:তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিবৃতিতে জোর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতি দানকারী ২৩টি সংগঠন হল- বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, জন উদ্যোগ, হিউম্যান রাইট্স ফোরাম বাংলাদেশ (্এইচআরএফবি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন (এএসএফ), বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিএসডব্লিউএস), বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), বাংলাদেশ দলিত এন্ড এক্সক্লুডেড রাইটস মুভমেন্ট (বিডিইআরএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), ফেয়ার, কর্মজীবি নারী, কাপেং ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল এলায়েন্স অব ডিজাবল্ড পিপলস্ অর্গানাইজেশনস্ (ন্যাডপো), নাগরিক উদ্যোগ, নারীপক্ষ, নিজেরা করি, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট (স্টেপস), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং ওমেন উইথ ডিজাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডিডিএফ)।

উল্লেখ্য, এ বছরের ৫ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা লাকিংমে চাকমাকে অপহরণ নিয়ে যায়। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য বাবা লালা অং চাকমা ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। অপহরণের ১১ মাস ৬ দিন পর লাকিংমে চাকমার লাশ কক্সবাজার হাসপাতালে পাওয়া যায়।