রুমায় কেএনএফ সদস্যদের গুলিতে ১ সেনা সদস্য নিহত, ২ আহত

0
332
ছবি: সংগৃহীত

হিল ভয়েস, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন এলাকায় সেনাসৃষ্ট কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১ সেনা সদস্য নিহত এবং ২ সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, আজ ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল আনুমানিক ৪:১০ টার দিকে রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পলি প্রাংশা পাড়ার যাত্রী ছাউনি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দলের সাথে কেএনএন সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধ হলে তাতে ৩ সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে আহত সেনা সদস্যদের রুমা সেনা গ্যারিসনে নিয়ে যাওয়া হলে, কিছুক্ষণ পরেই তাদের মধ্যে কর্পোরাল রফিক মারা যান।

আহত অন্য দুই সেনা সদস্যরা হলেন- বিজেও ৬৭৩০২-ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলী ও সৈনিক মিলন। তারা সবাই রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের বড়থলি সেনা ক্যাম্পের ২৮ বীর বেঙ্গলের সদস্য বলে জানা গেছে।

আহত ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলী ও সৈনিক মিলনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ এপ্রিল থেকে সরকারের যৌথবাহিনী কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করলে এ পর্যন্ত ৭৭ জন বম ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নিরীহ ও নিরপরাধ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নারী, ২ জন অন্তঃসত্তা নারী, অন্তত ২০ জন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্যরা সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, বাগান চাষী, মজুর ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।

এ পর্যন্ত কেএনএফের কোনো সক্রিয় সন্ত্রাসী সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি যৌথবাহিনী।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল পরপর রুমার সোনালী ব্যাংক শাখা এবং থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক শাখায় ডাকাতি করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা অর্থ সহ ১৪টি অস্ত্র লুট করলে সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআই-এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে যে, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ২০০৮ সালে নাথান বম ও ভাংচুনলিয়াম বমের নেতৃত্বে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের ইন্ধনে কেএনডিও-এর নাম পরিবর্তন করে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নাম রেখে সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু করা হয়।