বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক মারধরের শিকার ২ নিরীহ জুম্ম

0
214
ছবি: মারধরের শিকার হওয়া মংচসিং মারমা এবং এমংউ মারমা

হিল ভয়েস, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন রুমা উপজেলার রুমা ইউনিয়নের পলিকা পাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মদদপুষ্ট বম পার্টি নামে খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের কর্তৃক দুই জন নিরীহ জুম্মকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হিল ভয়েসের বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তুংখ্যংওয়া পাড়া থেকে বেরিয়ে পলিকা পাড়ার দিকে যাওয়ার পথে এক জুম্ম যুবককে মারধর করে কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা।

মারধরের শিকার যুবকটি হলেন, উশৈনু মারমার ছেলে মংচসিং মারমা (২২)। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে ২য় তম সন্তান।

মারধরের শিকার মংচসিং বলেন, আমি কোনোকিছুই বলিনি এবং তাদের সাথে কোনো কথাও বলিনি। তা সত্ত্বেও আমাকে কোন জায়গায় থাকো? কি করো তুমি? ইত্যাদি প্রশ্ন করে তারা। ভয়ে আমি তাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে না দেওয়াটেই তারা আমাকে মুখের উপ কয়েকটা ঘুষি মারে। এতে আমার মুখ থেকে রক্ত ঝরে।

মংচসিং আরো বলেন, মারধরের পর আমাকে নদীর দিকে মুখ করে থাকতে বলেন কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা। তারা কোনদিকে হেঁটে যাচ্ছে তা যদি আমি দেখি তাহলে আমাকে গুলি করে মারবে বলেও হুমকি প্রদান করেন তাদের গ্রুপ কমান্ডার।

অন্যদিকে, আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উক্ত ১২ জনের কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের গ্রুপটি পলিকা পাড়াতে এসে পৌঁছায়। তারপর পৌঁছার সাথে সাথে সেখানেও এমংউ (৩০) নামের এক নিরীহ জুম্মকে পেছন থেকে লাথি মারে।

এমংউ জানান, তাকে এইভাবে কেনই বা লাথি মারা হলো তিনি নিজেও কিছুই জানেন না। তারপর তাকে কেন এইভাবে লাথি মারার কারণ জানতে চাইলে কুকি চিন সন্ত্রাসীদের এক সদস্য আরো মারার জন্য এগিয়ে আসে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা মোট ১২ জন ছিলেন। আর ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের কাছে ছিল কাঁদা বন্ধু ( নল লম্বা বন্দুক), আর বাকি ৫ জনের কাছে ছিল ( একে ৪৭ ) এবং প্রত্যেকের গলায় লাল রঙের একটা করে স্কার্ফ ছিল বলে জানান।

মারধরের শিকার এমংউ মারমা (৩০) হলেন মংক্যসিং মারমার ছেলে।

এরপর যাবার সময় কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা রাস্তার প্রবেশের মুখ ব্রিজের শেষের মাথায় সড়কের রাস্তার পাশে ঝিরির দিক দিয়ে চলে যায় বলে জানা গেছে।