টাঙ্গাইলে আদিবাসী নারী নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক

0
716

হিল ভয়েস, ১২ জানুয়ারি ২০২১, ঢাকা: টাঙ্গাইলে আদিবাসী বর্মন নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দাসহ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি ২০২১ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালিরচালা গ্রামের সন্ধ্যা রাণী (৩৫) নামের আদিবাসী বর্মন নারীকে চুরি করার অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রায় ৪ ঘন্টা নির্যাতন করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা।

আজ ১২ জানুয়ারি ২০২১ সংগঠনটির সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার শিকার বর্মন নারীর সন্তানরা অভিযুক্তদের সন্তানদের সাথে নিয়মিত খেলাধুলা করত। ঘটনার কয়েকদিন আগে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকাপয়সাসহ মূল্যবান জিনিস হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় চোরের অপবাদ দিয়ে ভুক্তভোগী সন্ধ্যা রানীর ছোট ছেলে পলাশকে গত ৩ জানুয়ারি ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে গত ৯ জানুয়ারি খুকি ও সোমা আক্তার নামের দুই নারী সন্ধ্যা রাণীর বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে। তাতে ক্ষান্ত না হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা করিম ভূঁইয়ার বাগানে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

বিবৃতিতে ভুক্তভোগী কর্তৃক ডায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামী মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার দুই সন্তান মোস্তফা ভূঁইয়া, সজিব ভূঁইয়া, মোছা: খুকি ও সুমি আক্তারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওর্য়াকের সদস্য সচিব বলেন, ২০১৪ সালে তিনি একবার ঘাটাইল সফর করেন। সেখানকার আদিবাসীরা খুবই দরিদ্র, পশ্চাৎপদ ও অধিকার সচেতন নয়। এ সুযোগটি নিয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মত দেন। তাই তিনি অবিলম্বে ভুক্তভোগীকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দোষীদের গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবি জানান।