১৭ আগস্ট: চাকমা জনগোষ্ঠীর কালো দিবস–১

0
1208

নিরঞ্জন চাকমা

গত ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর উত্তর-পূর্ব ভারতে বসবাসকারী চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকদের দ্বারা ১৭ই আগস্ট দিনটিকে কালো দিবস বা ব্ল্যাক ডে হিসাবে পালিত হবে। এই সিদ্ধান্তটি ঘোষিত হয়েছিল বিগত ২৪-২৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে আসামের গৌহাতিতে অনুষ্ঠিত চাকমান্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রথম জাতীয় অধিবেশনে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত বছর এই বিশেষ কালো দিনটি একযোগে পালিত হয়েছে আসাম, মিজোরাম, অরুণাঞ্চল ও ত্রিপুরা রাজ্যের চাকমা অধ্যুষিত অঞ্চলে। এছাড়া কলকাতা, নতুন দিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু ইত্যাদি শহরেও এই দিনটি প্রতিপালিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও এই দিনটি কালো দিবস হিসেবে প্রতিপালিত হবে। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই বছর আনুষ্ঠানিকভাবে মিছিল বা সমাবেশ করা হবে না। তার পরিবর্তে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে, যা ফেসবুকে ও ফেসবুকের পেইজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এই অনলাইন আলোচনায় দেশের জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চল থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকজন অংশগ্রহণ করবেন।

কেন এই সিদ্ধান্ত:

এখন স্বাভাবিকভাবে অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, কেন এই কালোদিন উদ্যাপন? কেন ভারতীয় চাকমা জনসমাজ এবং বহির্বিশ্বে বসবাসকারী চাকমাদের দ্বারা ১৭ই আগস্ট দিনটি কালোদিবস রূপে চিহ্নিত করা হলো? এ বিষয়ে সর্বসাধারণের জিজ্ঞাসা ও কৌতুহল নিরসন ও অবগতির জন্য এখানে যৎসামান্য আলোকপাত করা প্রয়োজন।

এ কথাটি আমরা সকলে জানি যে, ১৯৪৭ সনের ১৫ই আগস্ট দিনটি ছিল আপামর ভারতবাসীর পক্ষে ব্রিটিশ-পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার আস্বাদ উপভোগের পরম আনন্দময়, গৌরবোজ্জল ও চিরস্মরণীয় দিন। কিন্তু এ কথাটি আমরা অনেকে জানিনা যে, এই ১৫ই আগস্ট দিনটি ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী চাকমাদের নিকট এক চরম উৎকণ্ঠাময় ও ¤্রয়িমান দিন। যদিও সেদিন পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরা স্বাধীনতাকামী সমগ্র ভারতবাসীদের সঙ্গে একান্তবোধে প্রাণিত হয়ে নিজেদের মহল্লায় ভারতের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন, তথাপি তাঁদের মনে উৎকণ্ঠার অন্ত ছিলনা। কেননা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ভারতভুক্ত হবে কিনা, নাকি তা পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে, এমনই ছিল অনিশ্চয়তা। এমন অনিশ্চয়তা ভরা আরও দুটি রাত যেতে না যেতেই, ১৯৪৭ সনের ১৭ই আগস্ট তারিখে সরকারিভাবে বেতারযোগে জানা গেল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি সত্যিই পাকিস্তানকে উপহার দেওয়া হয়েছে। বাস্তবিকই ১৯৪৭ সনের ১৭ আগস্টের দিনটি ছিল সমগ্র চাকমা জনসমাজের পক্ষে চরম দুঃসহ ও দুঃস্বপ্নময় দিন এবং একটি কালো অধ্যায়ের সূচনাকাল। সেদিন থেকে আজ অবধি ৭২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও চাকমা সমাজ যে প্রশ্ন দু’টির সদুত্তর খুঁজে ফেরে, তা হলোঃ

১) কোন নীতিমালা অনুসরণ করে বেঙ্গল বাউন্ডারী কমিশন ৯৮.৫ শতাংশ অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিল?

২) তখনকার সময়ে ভারতের নেতৃত্ব এই অন্যায়ের প্রতিকারের ক্ষেত্রে সত্যিই কি অক্ষম ছিলেন?

এসব প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ার বেদনাবোধ এবং সত্যি কথা বলতে গেলে ১৯৪৭ এর অন্যায়মূলক দেশভাগের প্রত্যক্ষ কুফলগুলি ভুক্তভোগী, তথাকথিত ডায়াসপোরা এই নতুন অভিধা বা নামধারী বর্তমান দক্ষিণ-এশিয়ার চাকমা সমাজের মধ্যে নিরন্তর বহমান দুঃস্বপ্ন, দূরাবস্থা, অস্থিতিশীলতা, অসহায়তা, নিজভূমে পরবাসী যাতনা, এথনিক ক্লীনসিং ইত্যাদি দুর্গতিভোগের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট যাবতীয় ক্ষোভ, কাতরতা ও বিবেক তাড়নার প্রতীকীরূপই হলো এই কালোদিবস।

এখন তাকানো যাক দেশ বিভাগের সময়কালীন কিছু কিছু ঘটনাবৃত্তের দিকে। কিন্তু তার আগের দেশ বিভাগকারী ব্রিটিশ রাজপুরুষ ও ভারতীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে হলেও কিছু জানা দরকার।

ব্রিটিশ সরকারের ইচ্ছে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সম্মতি অনুযায়ী ভারত-বিভাজনের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান এই দুটি পৃথক রাষ্ট্র যেনতেন প্রকারণের সৃষ্টির জন্য ১৯৪৭ সনের মার্চ মাসে ইংল্যান্ড থেকে ভারতের নতুন ভাইসরয় রূপে পাঠানো হলো এমন এক রাজপুরুষকে, যিনি খোদ ইংল্যান্ডের মন্ত্রিসভার অধীনতামুক্ত ও এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, তিনি হলেন নীলরক্তের অধিকারী লর্ড লুই ফ্রান্সিস আলবার্ট ভিক্তর নিকোলাস জর্জ মাউন্টব্যাটেন সংক্ষেপে লর্ড মাউন্টব্যাটেন। ভারতে চলে আসার সময় তিনি তাঁর তুতো ভাই ব্রিটিশ-ভারত সম্রাট ষষ্ঠ জর্জকে বলে আসেন, তিনি ১৯৪৮ সনের জুলাই মাস পর্যন্ত ভারতে থাকবেন, তাঁর একদিনও বেশি নয়। ভারতে চলে আসার পর পৃথকভাবে গান্ধীজীর সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলীম লীগ এই দুই যুযুধান দলের নেতাদের নিয়েদফায় দফায় মিলিত হন এবং ভারত বিভাজনের জন্য সীমারেখা নির্ধারণের প্রয়োজনে বেঙ্গল বাউন্ডারী কমিশন ও পাঞ্জাব বাউন্ডারী কমিশন নামে দুটি পৃথক কমিশন গঠন করেন।

প্রত্যেক কমিশনে ছিলেন চেয়ারম্যান ব্যতিত চারজন করে সদস্য। উভয় কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিপ, যিনি ইতিপূর্বে কখনও ভারতে পা রাখেননি (এটাই নাকি নিরপেক্ষতার মাপকাঠি)। এই স্যার র‍্যাডক্লিপ ভারতে এলেন ১৯৪৭ সনেরর ৮ জুলাই। তাঁর সময়সীমা নির্ধারিত ছিল মাত্র পাঁচ সপ্তাহ, অর্থাৎ ৩৫ দিন। সত্যি তিনি ৩৬দিনের মধ্যে দুটি রাষ্ট্রের সীমারেখা, মানচিত্র ও নথিপত্র ইত্যাদি তৈরি করে (অবশ্য সব সীমান্তরেখা পর্যবেক্ষণ ব্যতিরেকে) ১৯৪৭ সনের১৩ আগস্টের দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৯৪৭ সনের ১৪ই আগস্ট ভারত ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে যান। এখন প্রশ্ন হলো, এতো অল্প সময়ের মধ্যেকিভাবে সম্পন্ন হলো এমন কঠিনতম ভারত-বিভাজনের কাজ? দুঃখের বিষয়, এ সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণের তেমন সুযোগ নেই। কারণ র‍্যাডক্লিপ চলে যাবার সময় তাঁর ব্যবহৃত যাবতীয় নথি, অভিযোগপত্র ইত্যাদি সবই তিনি বাক্স প্যাঁটরায় ভরে সঙ্গে গিয়ে ইংল্যান্ডেরপৌঁছেই তা পুড়িয়ে ফেলেন।

তবুও পরবর্তীকালের বিভিন্ন গুণীজনের রচনা থেকে তা জানা যায়, তা পর্যালোচনা করে কিছু তথ্য এখানে উদ্ধৃত করা হল। যেমন¬

১) বাউন্ডারী কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট ১৩ই আগস্ট লর্ড মাউন্টব্যাটেনের হাতে জমা পড়লেও তা জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলীম লীগ অফিসে বিলি করা হয় ১৯৪৭ সনের ১৬ই আগাস্টের অপরাহ্নে। তাহলে কি নেহেরুজী ও মহম্মদ আলি জিন্নাসহ উভয়পক্ষের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা জানতেন র‌্যাডক্লিপের সর্বশেষ দেশ বিভাগের তথ্য? তা না হলে তাঁরা কিভাবে সম্পন্ন করলেন নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতা উৎসব?

২) যদি সত্যিই জানতেন, তাহলে দেশ বিভাগের মুহুর্তে সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক সরকারগুলিকে দেশ বিভাগকালীন চলা দাঙ্গা প্রতিরোধের জন্য আগে থেকেই সতর্ক করা হলো না কেন? তাতে অন্তত কিছু লোকের প্রাণহানি এড়ানো যেতো।

৩) ১৯৪৭ সনের আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে ভারত-পাকিস্তানের সীমা-সনদ বা এওয়ার্ড প্রস্তুত হয়ে যায় এবং তা যথাসময়ে নেহেরুজী ও প্যাটেলজীকে অবহিত করা হয়। প্যাটেলজী তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাকিস্তান অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি দেখে নাকি প্রচন্ডভাবে চটে যান এবং অত্যন্ত কড়া ভাষায় মাউন্টব্যাটেনের নিকট চিঠি লেখেন। তবুও বিষয়টি সংশোধন হলো না কেন? এটা কি ছিল লোক দেখানো?

৪) বেঙ্গল বাউন্ডারী কমিশনের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ইস্যুটি নিয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল ১৯ই জুলাই, ১৯৪৭ সন। অথচ সেদিনই কমিশনের চেয়ারম্যান স্যার র‌্যাডক্লিপ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। কেন এই পরিস্থিতি? তা কি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিষয়গুলি এড়িয়ে যাবার জন্য। অপরদিকে সেই শুনানিতে মুসলিম লীগ এর বিশিষ্ট নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও জাতীয় কংগ্রেসের তরফে সে রকম কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এই শুনানির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, যাঁদের নিয়ে সেদিন শুনানী তথাপি তাঁদের কোন নেতৃত্বকে এই সভায় ডাকাই হলো না, তাঁদের কোন মতামতই শোনাই হলো না।

৫) বেঙ্গল কমিশনের চারজন সদস্যের মধ্যে দু’জন সদস্য জাস্টিস বিজন কুমার মুখার্জি ও জাস্টিস চারুচন্দ্র বিশ্বাস উভয় মিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাকিস্তানভুক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৭ পাতার জোরালো এক রিপোর্ট কমিশনে দাখিল করেন, যা ১৩ই আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে কমিশনের সভায় র‌্যাডক্লিপ কোন গুরুত্ব না দিয়েই প্রত্যাখান করেন।

৬) পাঞ্জাব বাউন্ডারী কমিশনের সদস্য জাস্টিস মহম্মদ মুনীর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর মতে এই বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ নীতি বহির্ভূত।

৭) ইন্ডিয়ান কন্সষ্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লীর সদস্য, আদিবাসী নেতা জয়পাল সিং পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বলেন এই ভুল অবশ্যই সংশোধন হওয়া দরকার।

৮) স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিপ বাউন্ডারী কমিশনের যাবতীয় কাগজপত্র ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলার কারণ কি? তা কি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাঞ্জাবের বিষয়ে অপকৃত পাপকর্ম লোপাটের জন্য?

৯) জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানভুক্তির বিষয়ে র‌্যাডক্লিপের প্রধান যুক্তি ছিল Ñ এটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত সীমায় অবস্থিত, পশ্মিম বঙ্গের সঙ্গে তার কোন ভৌগলিক সংযুক্তি নেই। এবং চট্টগ্রাম জেলার সঙ্গে এই জেলাকে একই পর্যায়ে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনীতি সহসা ধ্বসে পড়বে ইত্যাদি। এসবই র‍্যাডক্লিপের ছেঁদো যুক্তি। ঠিক যেন বাঘ ও হরিণ শাবকের গল্পটির মতো। যেনতেন একটি যুক্তি দেখিয়ে হরিণ শাবককের নিধন করতে হবে। তা না হলে, তিনি আসামের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগলিক সংযুক্তির কথা চেপে গেলেন কেন? এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা স্নেহ কুমার চাকমা বেঙ্গল বাউন্ডারী কমিশন গঠনের শুরু থেকেই মেমোরেন্ডাম প্রদানের মাধ্যমে কমিশনকে ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে বার বার জানিয়েছিলেন।

১০) দেশ-বিভাগের পরবর্তীকালে নেহেরুজী একবার প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাটি পাকিস্তান চলে যাওয়াটা এক মারাত্মক ভুল হয়েছিল। নেহেরুজীর এই অনুতাপ যদি সত্য হয়, তাহলে তাঁর জীবিতকালে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিষয়টি উত্থাপন করে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করলেন না কেন? এ প্রসঙ্গে সামগ্রিক তথ্য-উপাত্ত, বিচার-বিশ্লেষক সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় দেশ বিভাগের সময় ভারতীয় নেতৃবৃন্দ ও ব্রিটিশ রাজপুরুষদের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ নিয়ে দরদের সহিত মোটেই চিন্তা-ভাবনা করা হয়নি। তাই ঘটে গেছে ঐতিহাসিক ভুল। তা না হলে, কিভাবে ৯৮.৫ শতাংশ অমুসলিম অধ্যুষিত এই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা যায়? এই ঐতিহাসিক ভুল ভবিষ্যতে সংশোধিত হবে কিনা কেউ জানে না। তবুও অধ্যুষিত প্রজন্ম অতীতের এই ভুলের ঘটনাবলীকে স্বজাতির দ্বারা পুনঃমস্থনের জন্য ঘোষণা দিয়েছে এই কালোদিবস। হয়তো এই মস্থন থেকে স্বজাতি নিয়ে আত্মবল খুঁজে পাবে এই আশায়।

চলবে…….

নিরঞ্জন চাকমা: হিল ভয়েস (নিউজ পোর্টাল)-এর সম্পাদক এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী।