সংরক্ষিত বনের নামে আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও ফসল কেটে ফেলায় মধুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ

0
873

হিল ভয়েস, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, টাঙ্গাইল: বন বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত বনের নামে আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও আবাদী ফসল কেটে ফেলায় টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে মানব্বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধুপুরের সন্মিলিত আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে পঁচিশ মাইল বাজারে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকাল ১০ ঘটিকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ) কেন্দ্রীয় পরিষদের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিলের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউজিন নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীণ চিসিম, বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি শ্যামল মানখিন, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ) মধুপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ নকরেক, জিএসএফ কেন্দ্রিয় পরিষদ এর শিক্ষা সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অনিক ডিব্রা, অধিকারকর্মী প্রিন্স এডওয়ার্ড মাংসাং, বাগাছাস মধুপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন দফো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ মধুপুরের আমাদের আবিমা। এ সংরক্ষিত বন না হওয়ার আগে আমরা এখানে ছিলাম। এ বনের সাথে আমাদের মিতালি। এ বনকে কেন্দ্র করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশ হাওয়ার পর এ মধুপুরের ভূমিপুত্রদের উচ্ছেদ ও ভূমি দখলের যেন শেষ নেই।

এছাড়াও বক্তারা বন বিভাগের দুর্বৃত্তায়ন ও জবরদখল চেষ্টার মত অমানবিক কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়ে। দুর্বৃত্তায়নের সাথে সম্পৃক্ত বন বিভাগের সহকারী কমিশনার জামাল হোসেন তালুকদার, রেঞ্জার আব্দুল আহাদসহ সকল কর্মাকর্তাকে প্রত্যাহারসহ জড়িত সকলের বিচারের দাবী মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ বাসন্তী রেমাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোড়ালো দাবি জানান। এছাড়াও বন বিভাগ কর্তৃক যখন তখন দৌরাত্ন্য ও হয়রানি থামাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগামীকাল সকাল ১০ টায় দোখলা রেঞ্জ বন বিভাগের কার্যালয় ঘেরাও ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য যে, গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায় টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলাধীন ১১নং শোলাকুড়ী ইউনিয়নের পেগামারী গ্রামে বিনা নোটিশে বন বিভাগের সহকারী কমিশনার জামাল হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে বন বিভাগ বাসন্তী রেমা ও গেটিস যেত্রার প্রায় ৪০ শতাংশ জমির আবাদি ফসল কলাগাছ (যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা) কেটে ফেলা হয়।