বিলাইছড়ি বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেএসএসকে জড়িতকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

0
1354

হিল ভয়েস, ১৭ মে ২০২০, রাঙ্গামাটি:  গত ১৫ মে ২০২০ রাত আনুমানিক ৯:৩০ টার দিকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধুপশীল গ্রামে অবস্থিত ড. এফ দীপংকর মহাথেরোর ‘ধুপশীল আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ নামে বৌদ্ধ বিহারটি কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে জনসংহতি সমিতিকে জড়িত করার অপচেষ্টায় জনসংহতি সমিতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

১৭ মে ২০২০ রবিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, উক্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে জড়িত করে ‘পার্বত্যনিউজ.কম’, ‘সিএইচটিটুডে.কম’, ‘সিএইচটিটাইমস২৪.কম’, ‘তথাগতঅনলাইন.কম’, ‘নিব্বানাটিভি.নেট’ সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনা-প্রসূত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। উক্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে জনসংহতি সমিতি ও সমিতির কোন কর্মীর জড়িত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় যে, জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা এবং সমিতির নেতাকর্মীসহ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি বিশেষ কায়েমী স্বার্থবাদী মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করা হচ্ছে।

জনসংহতি সমিতি আরো উল্লেখ করে যে, ড: এফ দীপঙ্কর ভান্তের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও বক্তব্য ঐ এলাকায় শুরু থেকে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয়ভাবে জনগণের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি ও বিভেদের সৃষ্টি করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি উক্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা এবং জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে বিহারটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতকরণের সকল প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানায়।