পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কাউন্সিল সম্পন্ন

0
426

হিল ভয়েস, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, চট্টগ্রাম: গতকাল ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় চট্টগ্রামস্থ জেএমসেন হলে “শ্রমজীবী ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন চাই” স্লোগানকে সামনে রেখে পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১৮তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন হয়।

পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি চাকমা’র সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমরকৃঞ্চ চাকমা বাবু।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি তাপস হোড়, ঐক্য ন্যাপ চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক অজিৎ দাশ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড নিতাই প্রসাদ ঘোষ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সমন্বয়কারী জুনিয়া ত্রিপুরা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিপন ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডিসান তঞ্চঙ্গ্যা।

বক্তারা বলেন, সংগঠন হচ্ছে লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার। এই সংগঠনের মাধ্যমে একজন কর্মী তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। লক্ষ্য ছাড়া একটি সংগঠন পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। সেই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে হাসিল করার জন্য অবশ্যই নীতি, আদর্শ ও চেতনার প্রয়োজন। সেটি এমন একটি চেতনা, এমন একটি দর্শন যা দ্বারা লিঙ্গবিভেদ হবে না, শ্রেণিবিভেদ হবে না। যা দ্বারা সকল নিপীড়িত মানুষকে একত্র করে সামনে লক্ষ্য পূরণের জন্য এগিয়ে যাবে।

বক্তারা আরো বলেন, আজ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কোথাও ভালো নেই। শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও আদিবাসীদের উপর দমন-পীড়ন, ভূমি বেদখল করেই চলেছে। সেই জন্য আমাদের  ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসকল রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। পাহাড়ী তথা মেহনতি মানুষের যে মুক্তির সনদ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলনে সকলের এগিয়ে আসা দরকার।

বক্তব্য শেষে পর্যবেক্ষক ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ডিসান তঞ্চঙ্গ্যাকে সভাপতি, জগৎ জ্যোতি চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং সন্তোষ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।