৯ আগস্ট আদিবাসী দিবসের তাৎপর্য

0
990

                      বিনোতাময় ধামাই                       

বিভিন্ন গবেষণার সূত্র ধরে এখন বলা হয় যে বিশ্বে আদিবাসীদের মোট জনসংখ্যা ৪৭৬ মিলিয়ন, প্রধানত ৯০ টি দেশে তাদের বসবাস এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬.২ শতাংশ। আদিবাসী জনগণ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই ‘আদিবাসী দিবস’ দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করে থাকে।

১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তাঁর রেজুলেশনের (৪৯/২১৪) মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে, প্রতি বছর ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবস পালন করা হবে। এই তারিখটিকে বেছে নেওয়ার পিছনে একটা কারণ আছে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই দিনটি আদিবাসীদের জন্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ? আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত  লেখাতে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

১৯৭১ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ কতৃক একটি বিধি (রেজুলেশন) পাশ করা হয় যেখানে তৎকালীন মানবাধিকার কমিশনের উপকমিশন যা ‘সংখ্যালঘুদের বৈষম্য রোধ ও সুরক্ষা উপকমিশন’ নামে পরিচিত, সেই উপকমিশনকে ‘আদিবাসী জনগণের প্রতি বৈষম্য সম্পর্কিত’ একটি গবেষণা উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই উপকমিশন হোসে মার্টিনেজ কোবো (José Martínez Cobo) কে সেই গবেষণাটি করার জন্যে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেন একই বছরে (১৮ আগস্ট ১৯৭১)। সেই সময়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (Commission on Human Rights) এই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের অধীন একটি সংস্থা এবং ‘সংখ্যালঘুদের বৈষম্য রোধ ও সুরক্ষা উপকমিশন’ ছিল এই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি অধীনস্ত সংস্থা। যার ফলে সেই সময়ে আদিবাসী বিষয়টি জাতিসংঘের সর্বোচ্চস্তরে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

১৯৮১ সালে হোসে মার্টিনেজ কোবো তার ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যের সমস্যা নিয়ে অধ্যয়ন’ (Study on the Problem of Discrimination against Indigenous Populations) প্রতিবেদনটি জাতিসংঘে উপস্থাপন করেন। তিনি চুড়ান্ত প্রতিবেদনে জাতিসংঘে আদিবাসীদের জন্যে একটি Working Group on Indigenous Populations (WGIP) প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সুপারিশ করেন (প্রতিবেদনের পঞ্চম খন্ডের তৃতীয় ভাগ)। সেই সুপারিশ অনুযায়ী, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ১৯৮২/৩৪ এর রেজুলেশন অনুসারে, ১৯৮২ সালের মে মাসে, মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত উপ-কমিশনের (Sub-Commission on the Promotion and Protection of Human Rights) একটি সহায়ক অঙ্গ হিসেবে আদিবাসী জনসংখ্যা সম্পর্কিত এই Working Group প্রতিষ্ঠা করা হয়। এইওয়ার্কিং গ্রুপের দুইটি ম্যান্ডেট ছিল, প্রথমত, আদিবাসীদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা প্রচার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত উন্নয়ন পর্যালোচনা করা, এবং দ্বিতীয়তঃ আদিবাসী অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক মানের বিবর্তনে মনোযোগ দেওয়া।

এই ওয়ার্কিং গ্রপটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ৯ আগস্ট ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের জেনেভা সদর দপ্তরে। ১৯৮৫ সালে আদিবাসীদের জন্য জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক তহবিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রপে আদিবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। যদিও পরবর্তী সময়ে তার ম্যান্ডেটের আকার বৃদ্ধি করা হয়।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের অধিকার বা আদিবাসী বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষ্ঠার মুলে এই ওয়ার্কিং গ্রুপই ছিল মূল কারিগর। এখানে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে আদিবাসী দিবস প্রতিষ্ঠা এবং উদযাপনের বিষয় নিয়ে, আদিবাসী দশক প্রতিষ্ঠা (১৯৯৪ – ২০০৩ এবং ২০০৪ – ২০১৩), আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের প্রতিষ্ঠা (২০০০), আদিবাসী বিষয়ক স্পেশাল রিপোর্টার প্রতিষ্ঠা (২০০১) এবং সর্বোপরি জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক যে ঘোষণাপত্র, তার আলোচনা ভিত্তি এখানেই এই ওয়ার্কিং গ্রুপে তৈরী হয়েছিল। ওয়ার্কিং গ্রপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন দেশের আদিবাসী নেতৃবৃন্দ এই আদিবাসী দিবস (৯ আগস্ট) এবং আদিবাসী দশকের জন্যে তখন বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করেছিল, এবং পরবর্তীতে আদিবাসী অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরুর দিনটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের এই তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল, এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তা অনুমোদিত হয় ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয়,  Working Group on Indigenous Populations (WGIP) এর অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ কতৃক ২৬ আগস্ট ১৯৯৪ গৃহীত বিধি ১৯৯৪/৪৫ অনুযায়ী আদিবাসী অধিকার বিষয়ক খসড়া ঘোষণাপত্রের আলোচনার জন্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার জন্যে তার আওতাধীন মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।  ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মানবাধিকার কমিশন বিধি ১৯৯৫/৩২ অনুসারে, আদিবাসী অধিকার বিষয়ক খসড়া ঘোষণাপত্রের জন্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে দেওয়া হয়, যার কাজ আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের খসড়া ঘোষণাপত্রের আলোচনা করা। আদিবাসী নেতা, কর্মী ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের কাজ এবং কূটনীতির ফলে আজকের জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র তার ভিত্তি রচিত হয়েছিল সেই ৯ আগস্ট ১৯৮২ সালে শুরু হওয়া এই ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইন্ডিজেনাস পপুলেশন’ ফোরামের মাধ্যমে। এই ঘোষণাপত্রটিতে আদিবাসীদের প্রতিকারমূলক ও সার্বিক অধিকার রয়েছে যা আমাদের সকলের অধ্যয়ন করা উচিত এবং সরকারের কাছে সেই দাবি অব্যাহত রাখা উচিত।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এই  ‘Working Group on Indigenous Populations (WGIP)’ ফোরামটি কোথায় গেলো। ২০০৫ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনান জাতিসংঘের পুর্নগঠন বিষয় নিয়ে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধীন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ‘মানবাধিকার কমিশন’ কে বিলুপ্ত করে দিয়ে ‘মানবাধিকার পরিষদ’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেন। এই মানবাধিকার পরিষদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সরাসরি আওতাধীন থাকবে। পূর্বে মানবাধিকার কমিশনকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদে প্রতিবেদন দিতে হতো, এবং অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ সেই প্রতিবেদনটিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করতো, যা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং জটিলতা বিদ্যমান ছিল।  মহাসচিব কফি আনানের প্রস্তাবনায় তা একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে সরাসরি সাধারণ পরিষদের আওতায় এবং অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের সম-মর্যাদা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ অনুযায়ী, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৫ মার্চ ২০০৬ সালে একটি বিধি (রেজুলেশন) ৬০/২৫১ পাশ করেন যা ‘মানবাধিকার পরিষদ (Human Rights Council)’ নামে পরিচিত। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পূর্বে মানবাধিকার কমিশনের আওতাধীন যে সকল কার্যক্রম এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা মানবাধিকার পরিষদের অধীনে চলে আসবে।  সেই গৃহীত পদক্ষেপ  অনুযায়ী, আদিবাসীদের Working Group on Indigenous Populations (WGIP) মানবাধিকার পরিষদের আওতায় চলে আসবে।  সেইপরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, Working Group on Indigenous Populations (WGIP)  বিলুপ্ত করে দিয়ে তদস্থলে ‘Expert Mechanism on the Rights of Indigenous Peoples (EMRIP)’  প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং কাজের দায়িত্ব এবং পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে EMRIP পর্যালোচনা করে এর ম্যান্ডেট বর্ধিত করা হয় এবং এই নতুন সংযোজনে দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হচ্ছে, জাতিসংঘে গৃহীত আদিবাসী অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্রের (UNDRIP 2007) বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্রের সাথে কাজ করা, এবং দ্বিতীয়টি, বিভিন্ন দেশ সফর করে আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে সুপারিশনামা দেওয়া।

আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদের কোনো সংযোগ নেই, বরং এখানে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিকরণ বা ভালো-মন্দ বিষয়ে তাদের নিজস্ব মতামত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার ফলে একটা সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

যাই হোক, শেষ করছি কয়েকটি বিষয়ে কথা বলে। ১৯৮২ সালের আদিবাসীদের যে পথসূচনা, জাতিসংঘের সাথে যে পথ চলা, তাতে আদিবাসীরা তাদের নিজ্বস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি, এবং অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি ছিল। তারা তুলে ধরেছে কিভাবে তাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কিভাবে তাদের ভূমি বেদখল করা হচ্ছে, কিভাবে তাদের বেঁচে থাকার উৎস পাহাড়-বন-নদী ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাঁরা স্বশাসন টিকিয়ে রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বলেছে, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার কেন গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরেছে, তাদেরকে কেন প্রতিবাদী হতে হচ্ছে তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সরকারের কাছে তুলে ধরেছে। তারা আবেদন জানিয়ে যাচ্ছে, আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আমাদেরকে দিন, কারণ সেটার মাধ্যমে আমরা আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, নাগরিক, এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক অধিকারগুলো রক্ষা করতে পারবো। আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদের কোনো সংযোগ নেই, বরং এখানে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিকরণ বা ভালো-মন্দ বিষয়ে তাদের নিজস্ব মতামত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার ফলে একটা সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।  যেমনটা, আজকে যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৯৯৭ অনুযায়ী সকল ধারা-উপধারা বাস্তবায়ন, আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ, শরণার্থী এবং বাস্তুচ্যুত বিষয়ক টাস্কফোর্স, এবং ভূমি কমিশনকে ক্ষমতায়ন এবং যথাযথ কার্যকর করা হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘর্ষের পরিবর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। পার্বত্য মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যদি আরো বেশি যদি চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, চুক্তি অনুযায়ী জুম্ম আদিবাসীদের অংশগ্রহণ যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে সেখানে একটা ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরী হবে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।

অনেক দেশে এমনকি বাংলাদেশে, আদিবাসীদের অধিকার, স্বীকৃতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আন্দোলনকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আন্দোলনের তকমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা আদতে ঠিক নয়। ইতিহাসের দিকে যদি আমরা তাকাই, সংঘর্ষ তখনই তৈরী হয়েছে যখন আদিবাসীরা নিজেদের অস্তিত্বকে হুমকি মনে করেছে, যখন দেখা যাচ্ছে আদিবাসীদের ভূমিতে বহিরাগতদের বসতি গড়ে উঠছে, জনমিতি পরিবর্তন করে দিচ্ছে, নতুন অবয়বে উপনিবেশিক শাসন চলছে, প্রতিবাদ করলে নেমে আসছে নির্যাতন, হত্যা, নিপীড়ন, জেলবন্দি এবং আরও অনেক কিছু। আদিবাসীরা চেয়েছে এবং এখনো দাবি জানিয়ে যাচ্ছে যে তাদেরকেও রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা হোক, সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া হোক, নিজ্বস্ব সংস্কৃতি এবং প্রথাগত ব্যবস্থা ধরে রাখার জন্যে সুযোগ দেওয়া হোক, রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হোক।  কারণ আমার সংস্কৃতি, জীবন আচার আচরণ, আমার নিজের শাসন ব্যবস্থা আমি যেভাবে বুঝবো সেটা বাইরে থেকে এসে কেউ অনুভব করতে পারবে না। সেটা চাওয়া কোনোদিন বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে পারে না, তাই রাষ্ট্র এবং সরকারের উচিত আদিবাসীদের কথা শুনা এবং তাদের সংস্কৃতিকে সন্মান করে তাদের অধিকার দেওয়া।

বিনোতাময় ধামাই: International Affairs Secretary of Bangladesh Indigenous Peoples Forum, Member of the UN Expert Mechanism on the Rights of Indigenous Peoples (EMRIP), Executive Member of Asia Indigenous Peoples Pact.