৫০টির অধিক আদিবাসী পাওয়া গেলে আগামীতে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিশেষ শুমারির আশ্বাস দিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান

0
649

হিল ভয়েস, ২৭ জুন ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ৫০টি আদিবাসীসহ এর বাইরে যদি আরো থাকে তাদেরকেও আগামী অক্টোবরের আদমশুমারীতে অন্তর্ভুক্ত করবো। এছাড়া সরকারি কোনো বিধিবদ্ধ সংস্থা না থাকলে যে অঞ্চলগুলোতে পঞ্চায়েত কিংবা আদিবাসীদের কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থাকে তাদেরকেও সম্পৃক্ত করার জন্য আমার অফিসারদেরকে নির্দেশ দিবো।’ এই আদম শুমারীর পরে আদিবাসীদের জন্য স্পেশাল শুমারি করারও প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন যন্ত্র আছে যা এক ক্লিকে জানতে পারি কোন এলাকায় কত কী আছে। এটি জানার জন্য পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর সময় লাগবে বলে মনে হয় না।’

গতকাল ২৬ জুন ২০২১ ‘জনশুমারী ২০২১: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভাজিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিসংখ্যান” শীর্ষক এক অনলাইন ওয়েবিনারে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরো বলেন, ‘আমরা যারা নানা বিষয়ে পরিকল্পনায় কাজ করি, বাজেটিং-এ কাজ করি, পঞ্চবার্ষিকী, দশ-বার্ষিকী ইত্যাদি প্রণয়ন করি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর হলো পরিসংখ্যান। কাজেই এটার প্রাপ্তি, বিশুদ্ধতা ও অভিগম্যতা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’ আগামী অক্টোবরে এই জনগণনার কাজটি হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘বগুড়ার ছেলে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই কাজটি (আদমশুমারি) করতে পারবে না। সিলেটের লোক সাতক্ষীরায় গিয়ে করতে পারবে না। তাই স্থানীয়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করেই এই কাজটি করা হবে। যারা এই কাজগুলো করবে তাদেরকে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। আমরা বর্ণ কিংবা অন্যান্য প্রসঙ্গগুলো বিবেচনায় না নিয়ে আমরা এমন স্থানীয়কে নিয়োগ দিই যে নির্দিষ্ট বেঞ্চমার্ক কোয়ালিফিকেশন পূরণ করতে পারে এবং যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে তাদেরকেই আমরা আদম শুমারির কাজে নিযুক্ত করবো।’ এটা কোনো চাকমা, মুরং, মুসলমান, হিন্দুর ব্যাপার নয় বলেও দাবী করেন তিনি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় যে বিষয়গুলো এসেছে সেগুলোসহ আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খুঁটিনাটি সব বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়া আদিবাসী সংজ্ঞায়নে বিতর্ক থাকলেও আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্যে পৌঁছানোরও আশা করেন তিনি। তবে কাজ থামিয়ে নয়, কাজ করে করে আলোচনার মাধ্যমে সেই বিতর্কের অবসান হবে বলে মনে করেন তিনি।
এএলআরডি ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে গতকাল অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এএলআরডি’র চেয়ারপারসন ও মানবাধিকার কর্মী খুশি কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। এছাড়া আরো আলোচক হিসাবে ছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা প্রমুখ।

আলোচনার শুরুতে বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে কত আদিবাসী গ্রুপ আছে তার যে বিতর্ক, যে বিতর্কের অবসান আগামীর সেনসাসে আমরা দেখতে চাই। সরকারের যে শুমারি হয় সেখানে যে সংখ্যা বলা হয়েছে তা অন্যান্য নৃবিজ্ঞানী ও গবেষকরা যারা কাজ করেছেন তাদের হিসাবের চেয়ে অনেক কম। ২০২১ সালের শুমারিতে এই বিতর্কের অবসান হবে বলেও আশা করেন তিনি। আমরা এর মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সংখ্যা এবং বাস্তবমুখী পরিসংখ্যান পেতে পারি।’

সংখ্যালঘু ও আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘যেখানে আদিবাসী জনবসতি আছে সেখানে যারা জরিপ চালাবে, সেখানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে যারা চিহ্নিত করতে পারে তাদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এছাড়া আদিবাসী নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এই ব্যাপারে সম্পৃক্ত করা। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ যেন এই ব্যাপারে সহাযোগিতা করে সে ব্যাপারে আদমশুমারির কাজের ক্ষেত্রে নির্দেশনা থাকা উচিত। আদিবাসীদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থ রক্ষায় আইনগত ও কার্যকরী সহায়তা প্রদানের জন্য আমাদের কাছে তথ্য দরকার।’ এই তথ্যগুলো আগামী শুমারির মাধ্যমে উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই সাংসদ।

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় তাঁর উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং দেশের অন্যত্র অঞ্চল ব্রিটিশ আমলেও (পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষত্রে ১৮৬০-১৯৪৭), জাতিসত্তাগতভাবে বিভাজিত তথ্য সরকারি পরিসংখ্যানে পাওয়া যেতো। তবে বিগত কয়েক দশকে এই জনশুমারি ও গৃহগণনায় কিছু মাত্রায় সম্প্রদায়গত বিভাজিত তথ্য উঠে আসলেও জনশুমারির প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত অন্যন্য পরিসংখ্যানে তা আংশিভাবে প্রতিফলিত হলেও পূর্বোক্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রকাশনার তথ্য বড়জোর অপর্যাপ্ত, না হয় ত্রুটিপূর্ণ। বিশেষ করে ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তাসমূহের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভাজিত তথ্য অপ্রতুল।’ বিগত সময়ের জনশুমারি ও গৃহগণনায় আদিবাসীদের তথ্যের উপস্থিতির অভাব ও ভুল তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন হয়েছে বলেও অভিমত তাঁর।

‘অনেক সময় ধর্মীয় সম্প্রদায়গত তথ্য পাওয়া গেলেও অর্থাৎ মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ভেদে পাওয়া গেলেও জাতিগতভাবে (চাকমা, সান্তাল, মান্দি (গারো), খিয়াং, প্রভৃতি) তথ্য খুঁজলে তা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর প্রকাশনাতে পাওয়া যায় না’ দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘দেশে ৫০টির অধিক আদিবাসী জাতিসত্তা রয়েছে। তবে ২০১০ সনের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইনে উল্লিখিত ৫০টি জাতির তথ্য অন্তত এই বারের জনশুমারিতে যেন বাদ না যায়।’ এছাড়া কোনো ক্ষেত্রে অজ্ঞতা, কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কোনো সময় রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব বা স্বল্পতার কারণে আদিবাসীদের নিয়ে বিভাজিত তথ্য নেই বলেও দাবি তাঁর।

ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় তাঁর প্রবন্ধে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেন। তাঁর মধ্যে দেশের ৫০টির অধিক আদিবাসী জাতির সাধারণ তথ্য (জাতিসমূহের জনসংখ্যা, লিঙ্গ, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদিসহ ইন্টারনেট-টিভি-রেডিও সংযোগ কেমন, স্কুল উপস্থিতি এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য) যেন সংগৃহীত হয় এবং উক্ত সংগৃহীত তথ্য যেন জাতিগতভাবে বিভাজিত আকারে প্রকাশ করা হয়। তারা সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা ইকো পার্ক, জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, প্রভৃতি এলাকার অধিবাসী কিনা, অ-পুনর্বাসিত শরর্ণাথী বা অভ্যন্তরীণ উদবাস্তু কিনা, তারা র্পাবত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের কাছে হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য দরখাস্ত করেছেন কিনা এবং তাদের মাতৃভাষা কী সেই সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ করা। এছাড়া তাদেরকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা, কোভিড-১৯ রিলিফ প্যাকেজ, খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, সুপেয় জল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা, সেই সঙ্গে ফোন সংযোগ, ইন্টারনেট ও অন্যান্য অনলাইন ক্লাস, বাজার ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ-সুবিধার অভিগম্যতা আছে কিনা সেগুলো প্রকাশ করা। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে নিয়োজিত গণনাকারীরা যাতে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব সঠিক এবং দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করতে পারে তার জন্য তারা যথাযথ এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা, পরিসংখ্যান ব্যুরো, ডেপুটি কমিশনার ও জনগণনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাসহ সংশ্লিষ্ট জাতিসত্তার প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে যথাযথ ও পর্যাপ্ত পরামর্শ করা ও তাঁদেরকে সম্পৃক্ত করা। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করার দাবিও তুলে ধরেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা বিগত দুই দশক ধরে এই কথাগুলো বলার চেষ্টা করেছি যেগুলো খুব সংবেদনশীল। যখন কোনো শুমারি হয় তখন আদিবাসীদের দাবিগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। যার ফলে তারা সামাজিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভাজিত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আমরা ধর্ম ও অন্যান্য নামে একটা বক্স বানিয়ে সেখানে আদিবাসীদের ঢুকিয়ে দিচ্ছি। যার ফলে জাতিগত তথ্য ও কারা কোথায় ধর্মান্তরিত হয়েছে তার তথ্য আমরা পাচ্ছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কেবল ধর্মীয় চর্চার ভিত্তিতে তথ্যগুলো দেখাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দেশটাতে যে ডাইভার্সিটির (বৈচিত্র্যতার) একটা স্ট্রেংথ আছে সেটার তথ্য আমরা পাচ্ছি না। যার ফলে উন্নয়নের যে রেলগাড়িটা আমরা চালু করেছি, সেখান থেকে অনেকেই বাদ পড়ে যাচ্ছেন।’

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড: মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার কিন্তু চেষ্টা করছে সমাজের নিচের তলার মানুষগুলোকে সামনের কাতারে নিয়ে আসার জন্য। সরকার নানান রকমের কাজ করছে। বাজেটেও তার কিছু কিছু রিফ্লেকশন আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা প্রান্তবর্তী মানুষ তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজটি থেমে আছে। কাজেই যার জন্য এই উন্নয়ন কার্যক্রম তাদেরকে যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে আমরা কীভাবে বুঝবো, কারা যোগ্য কারা অযোগ্য। আসন্ন আদমশুমারিতে যেন ৫০ টি আদিবাসীকে (সরকার ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ নামে স্বীকৃতি দিয়েছে) তাদের তথ্য এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য নামে’ যেন চিহ্নিত করে, তারা কোন ইউনিয়ন, কোন গ্রামে থাকে সেটা তুলে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আমরা একটা রিপোর্ট জমা দিয়েছি সেখানে আমরা একেবারেই প্রান্তিক ও অস্পৃশ্য মানুষ, যেমন দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আছে তাদেরকেও যেন চিহ্নিত করে তাদের তথ্যগুলো তুলে নিয়ে আসা হয় সে ব্যাপারে বলেছি। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র কর্তৃক তাদেরকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত ডিসি ও ইউএনও’রা তাদের (দলিত ও প্রান্তিক) নিয়ে কোনো কাজ এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে বলে মনে করেন না।’

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘যখন লোকগণনা হবে তখন যেন আদিবাসী মাঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট জাতির মানুষকে যেন নিযুক্ত করা হয়। তখন কিছু ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে বাঁচা যাবে। এছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে যেন আদিবাসীদের নিয়ে বিভাজিত তথ্যের স্পেশাল আদিবাসী সেনসাস করা হয়।’ এছাড়া স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও যেন একটি ‘আদিবাসী পলিসি’ সরকার প্রণয়ন করে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া উক্ত অনলাইন আলোচনায় যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, বিএনকেএস এর নির্বাহী পরিচালক হ্লা সিং নুয়ে, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য বিভূতি ভূষণ মাহাতো ও হরি পূর্ণ ত্রিপুরা প্রমুখ।