সাজেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু : আক্রান্ত আরো অনেকে

0
306

হিল ভয়েস, ৭ জুন ২০২৩, রাঙামাটি: রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়ায় ডায়রিয়া জনিত অসুস্থতায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ জনের বেশি শিশু ও বৃদ্ধসহ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার ৭ জুন ২০২৩, ভোর বেলায় গবতি বালা (৬০) ত্রিপুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে জানান সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনবিহারী চাকমা। তবে গত মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩, সিংগ ত্রিপুরা (৬৫) নামে একই এলাকার আরো একজন মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সাজেকের লংথিয়ান পাড়া, অরুণ পাড়া, কাইজা পাড়া, রায়না পাড়া ও শিয়ালদহ এলাকাসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় এই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এলাকার আশেপাশে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় স্থানীয় তান্ত্রিক বৈদ্য দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় মাচালং ও উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগী পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। যদি মেডিকেল টিম পাঠানো যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হবে, তার না হলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

সাজেক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার জোপুইথাং ত্রিপুরা জানান, শিয়ালদহ এলাকায় দশ থেকে বারো জন ডায়রিয়া রোগী রয়েছে। মূলত ছড়ার পানি থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে। ২০১৬ সালেও এই এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছয় জন জুম্ম গ্রামবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন।

এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এলাকটি খুবই দুর্গম, পায়ে হাঁটা পথ ছাড়া বিকল্প নেই। মূলত খাবার পানি থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে। আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (ইউএইচএফপিও) ডাঃ অরবিন্দু চাকমার সাথে যোগাযোগ করে একটি মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পাশের বিজিবি বিওপি থেকেও স্যালাইন সরবরাহ করা হয়েছে, তবে খুবই সীমিত।

বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরবিন্দু চাকমা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৪ সদস্যদের একটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ঔষধ স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ সাজেকের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে একদিন লাগবে। মেডিকেল টিম এর সদস্যরা পৌঁছালে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।