লংগদুতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্ম নারী ধর্ষণের শিকার

0
571
ছবি : প্রতিকী

হিল ভয়েস, ২৯ জুন ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া বাঙালি পাড়ায় ঈদের দাওয়াত খেতে গিয়ে এক জুম্ম নারী (৩৫) দুই সেটেলার বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ধর্ষণকারী দুই সেটেলার বাঙালির পরিচয় (১) মোঃ মনজুর (২৬), পিতা-মোঃ কামাল, ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, আটারকছড়া ইউনিয়ন ও (২) মোঃ রুবেল (২৬), পিতা-আব্বাস, ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, আচারকছড়া ইউনিয়ন।

ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি আটারকছড়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কাঙারাহিয়ে গ্রামে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (২৯ জুন) মুসলমানদের কোরবানীর ঈদের দিন বিকেলের দিকে উক্ত ভুক্তভোগী নারী তার দাদু ও দাদী এবং তার মামাসহ তাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী আটরকছড়া বাঙালি পাড়ায় মোঃ সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে যায়।

এক পর্যায়ে অভিযুক্ত মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেল নামে দুই সেটেলার বাঙালিও সিদ্দিকের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী নারী তার দাদা ও দাদীসহ হেঁটে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। সাথে সাথে মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেলও তাদের পেছনে পেছনে অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উক্ত দুই সেটেলার বাঙালি ভুক্তভোগী নারী এবং তার দাদা ও দাদীকে গতিরোধ করে বয়স্ক দাদা ও দাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উক্ত দুই সেটেলার বাঙালি জুম্ম নারীটিকে জোরপূর্বক পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এরপর চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়।

এদিকে ওই নারীর দাদা ও দাদী গ্রামে পৌঁছে আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের ঘটনাটি জানালে তারা ওই নারীর খোঁজে বের হন। একপর্যায়ে আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা ভুক্তভোগী ওই নারীকে প্রায় অচেতন অবস্থায় খুঁজে পায়।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যায়, আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অজয় চাকমা, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ ইকবাল উদ্দিনসহ স্থানীয় মুরুব্বি ও সেনাবাহিনীর একজন অফিসারের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী নারীকে আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডাকা হয় এবং ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী নারীটি তাদের সামনে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।