রুমায় সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি, ২ সেনা সদস্যসহ নিহত ৪

0
634
ছবি : আইএসপিআর

হিল ভয়েস, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কথিত সশস্ত্র গ্রুপের সাথে সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০:৩০ ঘটিকায় রুমা উপজেলার বথি ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বথি ত্রিপুরা পাড়ায় একটি সশস্ত্র গ্রুপ অবস্থান করছে বলে সেনা-মদদপুষ্ট মগপার্টির সূত্রে খবর পেয়ে মগপার্টির সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রুমা জোনের নিয়ন্ত্রণাধীন রাইংখিয়াং লেক সেনা ক্যাম্প হতে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একদল সেনা উক্ত এলাকায় অভিযান যায়।

সেনা সদস্যরা বথি ত্রিপুরা পাড়ার একটি খালী ঘরে অবস্থানরত সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যদের ঘিরে ফেলে এবং তাদের উপর উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ করে। এতে সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পাল্টা গুলি বর্ষণ করে বলে স্থানীয় সূত্র উল্লেখ করে।

আজ ৩ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত আইএসপিআরের প্রেসবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায় যে, এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাইংখিয়াং লেক ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং ফিরোজ নামে সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ১টি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, ৩টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং নগদ ৫২,৯০০ টাকা উদ্ধার করে বলে আইএসপিআরের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, সেনা সদস্যদের গুলিবর্ষণে ঘটনাস্থলে কথিত সশস্ত্র গ্রুপের তিনজন সদস্য নিহত হন। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

অন্যদিকে উদ্ধারকৃত এসএমজি ও ২৪৯ রাউন্ড গুলি আক্রান্ত সশস্ত্র গ্রুপের ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে উদ্ধারকৃত ৩টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি ও ৪ জোড়া ইউনিফর্ম ইত্যাদি মগপার্টি কর্তৃক সরবরাহকৃত অস্ত্র ও জিনিসপত্র হতে পারে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

সশস্ত্র গ্রুপের নিহত তিনজন সদস্যের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আইএসপিআরের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নিহত উক্ত তিনজন সশস্ত্র সদস্য “সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী” বলে উল্লেখ করা হয়। তবে নিহত উক্ত ব্যক্তিরা জনসংহতি সমিতির সদস্য নন বলে জনসংহতি সমিতির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।