রুমায় বন্যা কবলিত পাহাড়িদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে বৈষম্যের অভিযোগ

0
276

হিল ভয়েস, ২৮ আগস্ট ২০২৩, বান্দরবান: অতিসম্প্রতি ভারী বর্ষণের ফলে বান্দরবান জেলার থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা ও বান্দরবান শহর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন। এমনকি বন্যার পানি কমে গেলেও তাদের বাড়িঘর এবং ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের জমিতে প্রায় ২০-২৫ ফুট পর্যন্ত পলি ভরাট হয়ে যায়, যেগুলো উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া অনেকেই গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী যা ছিল, সব হারিয়ে প্রায় একেবারে নিঃস্ব হয়েছেন।

জানা গেছে, বন্যা কবলিত এসব মানুষদের সাহায্যার্থে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপারের তরফ থেকে রুমায় পরিবার প্রতি ২০ কেজি চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ সহ প্রায় ৪০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়। এই ত্রাণ সামগ্রীগুলো রুমা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শৈবং মারমা গ্রহণ করার কথা থাকলেও আওয়ামীলীগের জুয়েল বম, চাংপুই বম, থাংকামলিয়ান বম সহ অন্য নেতা-কর্মীরা এসব ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করেন। কিন্তু ত্রাণ বিতরণের সময় রুমা উপজেলার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাউকেই এই ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয় নি।

খবর নিয়ে জানা গেছে যে, এই ত্রাণ সহায়তা বম জনগোষ্ঠীর ২৫০ পরিবার, মারমা জনগোষ্ঠীর ১০০ পরিবার এবং রুমা সদরের বাঙালি ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ৫০ পরিবারকে দেওয়া হয়। অথচ বম জনগোষ্ঠী যেসমস্ত এলাকায় থাকে সেখানে পানি ওঠার কোন প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী।

জানা গেছে, রুমা সদরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ৯২টি পরিবারের বসবাস। তার মধ্যে ১ম ক্যাটাগরির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৩৫টি, ২য় ক্যাটাগরির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ২৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সংখ্যা ৩৩ টি। কিন্তু ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাউকেই এই ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয় নি।

এছাড়াও রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে ৩০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও মাত্র ৪টি ত্রিপুরা পরিবার এই সহায়তা পান এবং সেগুলোও আওয়ামীলীগের কর্মীর পরিবার বলে জানা গেছে।