রুমায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কর্তৃক চাঁদাবাজি এবং গ্রামবাসীদের মুরগী ও গবাদি পশু ছিনতাই

0
332
ছবি : প্রতিকী

হিল ভয়েস, ২২ আগস্ট ২০২৩, বান্দরবান: বান্দরবান জেলাধীন রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদা দাবি করার এবং জোরপূর্বক মুরগী, ছাগল, কুকুর ইত্যাদি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২১ আগস্ট ২০২৩ রাতে কেএনএফ’র একটি সশস্ত্র দল পাইন্দু ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পরোওয়া পাড়া গ্রামে প্রবেশ করে। প্রবেশ করেই তারা কোনো টাকা না দিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে প্রায় ৩২ কেজি ওজনের মুরগী ছিনিয়ে নেয় এবং ১টি কুকুর গুলি করে মেরে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের বলে যায় যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যেন গ্রামবাসীরা পরিবার প্রতি ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে তাদেরকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা যায়, আজ ২২ আগস্ট ২০২৩ তারিখও কেএনএফ’র ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল পাইন্দু ইউনিয়নের থোয়াইবতং পাড়া গ্রামে প্রবেশ করে। সেখানে তারা এক গ্রামবাসীর একটি ছাগল জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে খেয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া থোয়াইবতং পাড়া গ্রামবাসীদের ৪ বস্তা চাল, চাইন্দা হেডম্যান পাড়া গ্রামবাসীদের ৩ বস্তা চাল এবং মুয়ালপি পাড়া গ্রামবাসীদের ৩ বস্তা চাল আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জোগাড় করে দিতে হবে জানিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, এখনো কেএনএফ সন্ত্রাসীরা থোয়াইবতং পাড়া গ্রামে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও, গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীদের একটি দল একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চাইরাগ্র পাড়া গ্রামে প্রবেশ করে বলে জানা যায়। এসময় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বিনামূল্যে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে প্রায় ১২ কেজি ওজনের মুরগী ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং গ্রামের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়।
পরের দিন (১৮ আগস্ট) রাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা আবার ঐ গ্রামে যায় এবং ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে, গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অপর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডেও ক্যালুংখিয়াং পাড়া গ্রামে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বিনামূল্যে ৮-৯ কেজি ওজনের মুরগী ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে তাদেরকে দিতে হবে বলে জানায়।