বাম গণতান্ত্রিক জোটের লামায় ম্রো জনগোষ্ঠীর উপর হামলা’র নিন্দা

0
297

হিল ভয়েস, ৫ জানুয়ারি ২০২৩, ঢাকা: বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় বান্দরবানের লামায় যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী ম্রো জনগোষ্ঠীর বসতিতে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটে চললেও আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের জীবন ও বসতবাড়ির নিরাপত্তা পাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া এ ধরনের ঘটনা সম্ভব না। সভায় আদিবাসীদের ভূমির অধিকারসহ জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় ।

সভায় দুঃশাসনের অবসান, গণমাধ্যম, বিচার বিভাগসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রাম জোরদার করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি), সকাল ১১টায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুর সাত্তার, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী, রুবেল সিকদার, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র রাশেদ শাহরিয়ার।

সভায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছে।

সভায় বলা হয়, শুধুমাত্র-ক্ষমতাশ্রয়ী দলগুলো রাজনীতিকে নীতিহীন শক্তির খেলায় পরিণত করেছে। বর্তমান সরকার জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছে। দুর্নীতি, লুটপাট সীমাহীন পর্যায়ে চলে গেছে। যার কারণে অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছে যে, ব্রিটিশ আমলেও এত লুটপাট হয়নি। এই সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী বিরোধী আদিপত্যবাদী শক্তি নানা তৎপরতা চালাচ্ছে।

সভায় বলা হয়, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক আইনের শাসন ছাড়া কোনো উন্নয়ন জনকল্যাণ তথা সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ বয়ে আনে না। এই সরকার শুধু ভোটের অধিকারই কেড়ে নেইনি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে।

৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সভায় ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দমন-পীড়ন, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবিতে আগামী ৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।