নেত্রকোণায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

0
316
ছবি: নিহত মুক্তি বর্মণ

হিল ভয়েস, ২ মে ২০২৩, নেত্রকোণা: নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় মুক্তি রানী বর্মণ নামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সংখ্যালঘু স্কুলছাত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মুসলিম বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। মুক্তি রানী প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

আজ ২ মে ২০২৩ দুপুর আনুমানিক ৩ টার দিকে বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ৩টার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুল থেকে ফেরার পথে বাড়ির পাশে দা দিয়ে মুক্তি বর্মণকে (১৬) কোপাতে শুরু করে বখাটে কাউছার মিয়া। এ সময় মুক্তির সহপাঠীদের চিৎকারে লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তির মৃত্যু হয়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত মুক্তি বর্মণ (১৬) উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে। আর অভিযুক্ত কাউছার মিয়া একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।

ছবি: হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা

নিহত মুক্তি বর্মণের চাচা লিটন বর্মণ বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে তাঁর ভাতিজিকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন কাউছার। বিষয়টি তাঁর পরিবারকেও জানানো হয়েছিল। আজ বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাউছার।

মুক্তি বর্মণের সহপাঠীরা জানায়, আজ বেলা তিনটার দিকে বিদ্যালয় থেকে তারা একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল। বিদ্যালয়ের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছালিপুরা এলাকায় পৌঁছানোর পর হঠাৎ কাউছার দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তারা ভয় পেয়ে দৌড় দেয় এবং চিৎকার করতে শুরু করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে যান।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা আমরা উদ্ধার করেছি। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। নিহত মুক্তি বর্মণের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতে নয়াদিল্লিতে অবস্থান প্রতিবাদ

মোড়েলগঞ্জে সংখ্যালঘু বাড়িতে পুলিশী তান্ডবের নিন্দা ঐক্য পরিষদের