টাংগাইলে আবারও মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর: মামলা নেয়নি পুলিশ

0
349

হিল ভয়েস, ৩১ আগস্ট ২০২৩, টাংগাইল: টাংগাইল জেলার মধুপুর থানার ১০নং ফুলবাগচালা ইউনিয়নের দোখলা বাজার নামক স্থানে মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল ৩০ আগস্ট ২০২৩, ভোর ৫ টার সময় উক্ত প্রতীমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানান, গতকাল সকাল ৮ টার দিকে মন্দির কমিটির সদস্য মিলন বর্মন মন্দিরের লাইট নিভাতে গিয়ে দেখে যে, কে বা কারা মন্দিরের ৭টি মূর্তি (কালি প্রতীমা, কাল ভৈরব প্রতীমা, দের্ষালী মুর্তি, জড়াসড়া মুর্তি, শিব মূর্তি, ডাকিনি, যোগিনী ) ভাংচুর করে মাটিতে ফেলে রেখে গেছে। এতে মিলন দেখা মাত্র মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদককে মোবাইলে ঘটনাটি জানান।

তারপর মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদক ঘটনাস্থলে যায় এবং মোবাইলের মাধ্যমে কমিটির সদস্যগনসহ চেয়ারম্যান, ইউনিন মেম্বার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পূজা উদযাপন পরিষদের মধুপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে ভাংচুরের ঘটনাটি অবগত করেন। এরপর চেয়ারম্যান ও আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থতি হলে তারা বাজারের লোকদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে বাজারের দোকানদারদের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত মিলন মিয়ার ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান (১৬) এই মূর্তি ভাংচুর করেছেন। মোঃ মনিরুজ্জামান পাকুল্যা এলাকার, পোঃ রশিদপুর, জামালপুর থানা।

এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় মনিরুজ্জামানকে স্বশরীরে হাজির করা হলে আইন শৃংখলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, সে মূর্তি ভাংচুর করেছেন। কেন ভাংচুর করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূর্তি পূজা নিষেধ তাই ভাংচুর করেছি।

তিনি আরো জানান, ভোর ৫ টার সময় তিনি মূর্তি ভাংচুর করেছে। মূর্তি ভাঙ্গতে কে বলেছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, আমি তা বলব না। তারপর এলাকাবাসীরা গ্রেফতারের দাবি জানালে পুলিশ তাকে অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি বলে জানা গেছে। পরে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে ।