জাতিসংঘের আদিবাসী স্থায়ী ফোরামের অধিবেশন শুরু হয়েছে

0
513

হিল ভয়েস, ১৮ এপ্রিল ২০২৩, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ২২তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুই সপ্তাহ ব্যাপী স্থায়ী ফোরামের এই অধিবেশন শুরু হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারের ২২তম অধিবেশনেও জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা, আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি মিলে প্রায় ১,২০০ জন পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করছেন।

এ বছর ২২তম অধিবেশনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে- “আদিবাসী, মানব স্বাস্থ্য, প্ল্যানেটরি ও টেরিটরিয়াল স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু: একটি অধিকার ভিত্তিক পদ্ধতি।”

এছাড়া আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক, সিডও সাধারণ সুপারিশ নং ৩৯, জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সিতে আদিবাসী প্লাটফর্ম, জাতিসংঘের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোর্টেয়ার ও এক্সপার্ট ম্যাকানিজমের সাথে সংলাপ, জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ৬টি এখতিয়ারভুক্ত বিষয় (সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার) নিয়ে আলোচনা, স্থায়ী ফোরামের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, সদস্য রাষ্ট্র ও আদিবাসীদের মধ্যে সংলাপ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আদিবাসী সংগঠনগুলো তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে মূল অধিবেশনের বিরতি সময়ে সহযোগী কর্মসূচি (সাইট ইভেন্ট) আয়োজন করবে।

গতকাল সোমবার বিকালে অধিবেশনে এজেন্ডা “আইটেম নং ৫(জি)- বিষয়ভিত্তিক সংলাপ: ক) আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দশক ও খ) সিডও সাধারণ সুপারিশ নং ৩৯”, এবং “আইটেম নং ৫(এফ): জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সিতে আদিবাসী প্লাটফর্ম” এর উপর এআইপিপি’র প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন

জাতিসংঘ হাইকমিশনারের সফর: দেশে গুম-হত্যা ও পার্বত্যাঞ্চলে অপরাধীকরণ

২২তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রীতিবিন্দু চাকমার নেতৃত্বে অগাষ্টিনা চাকমা ও চঞ্চনা চাকমা অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া কাপেইং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, জাতিসংঘের এমরিপের সদস্য বিনতাময় ধামাই, এআইপিপির প্রতিনিধি হিসেবে সোহেল চন্দ্র হাজং ও চন্দ্রা ত্রিপুরা স্থায়ী ফোরামের ২২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সরকারের পক্ষে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

২০০০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আদিবাসী জনগণের অধিকার সংরক্ষণের জন্য এবং আন্তর্জাতিক আদিবাসী দশকের লক্ষ্য পরিপূরণের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে একটি আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ফোরাম অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উপদেষ্টা সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ছয়টি বিষয়ে কাজ করে। এই ফোরাম সরকারি প্রতিনিধি আটজন এবং আদিবাসী প্রতিনিধি আটজন মোট ষোল সদস্য নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার বিষয়ে খোঁজ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা নিয়োগ বন্ধ রাখার জন্য ৬ জুম্ম সংগঠনের আহ্বান