এক্সপার্ট মেকানিজম পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের অবস্থা তদন্ত করতে পারে: এমরিপের সভায় প্রীতিবিন্দু চাকমা

0
365

হিল ভয়েস, ২১ জুলাই ২০২৩, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান জাতিসংঘের এক্সপার্ট ম্যাকানিজম অন দ্য রাইট্স অব ইন্ডিজেনাস পিপল্স (এমরিপ) এর ৩য় দিনের সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রতিনিধি প্রীতি বিন্দু চাকমা বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে এক্সপার্ট মেকানিজ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের অবস্থা তদন্ত করতে পারে এবং এখনও কী কী অবাস্তবায়িত রয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারে এবং অবশিষ্ট বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে সরকারকে কারিগরী সহযোগিতা জোগান দিতে পারে।

গত ১৯ জুলাই ২০২৩, জেনেভায় অনুষ্ঠিত এমরিপের ১৬শ অধিবেশনের ৩য় দিনের সভায় এজেন্ডা আইটেম ৬: কান্ট্রি ইনগেইজমেন্ট এর উপর বিবৃতি উপস্থাপন করার সময় পিসিজেএসএস প্রতিনিধি প্রীতি বিন্দু চাকমা এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘের এমরিপের এই ১৬শ অধিবেশনটি শুরু হয় গত ১৭ জুলাই এবং তা আজ ২১ জুলাই সমাপ্ত হবে বলে জানা যায়।

বিবৃতিতে প্রীতি বিন্দু চাকমা বলেন, ”কান্ত্রি ইনগেইজমেন্টকে প্রয়োজনসমূহ চিহ্নিত করতে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র ও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে সহযোগিতার জন্য এবং আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার সম্পর্কিত দেশীয় আইন ও নীতিমালার উন্নয়নে এবং কারিগরী পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেকানিজম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নকে বিবেচনা করা যেতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নকেও জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অবলোকন করা যায়। চুক্তিতে সরকার অন্যান্যের মধ্যে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর স্বশাসন, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে।

তবে এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশ সরকার ২৫ বছরে চুক্তির মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ ধারা বাস্তবায়ন করেছে, অথচ এখন সরকার অসদিচ্ছা নিয়ে অব্যাহতভাবে এই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

একটি নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে এক্সপার্ট মেকানিজ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের অবস্থা তদন্ত করতে পারে এবং এখনও কী কী অবাস্তবায়িত রয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারে এবং অবশিষ্ট বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে সরকারকে কারিগরী সহযোগিতা জোগান দিতে পারে। প্রয়োজনে ইহা বিধিমালা বা আইন প্রণয়নেও সহযোগিতা দিতে পারে।

তাই, আমি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কান্ত্রি ইনগেইজমেন্টর উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ সরকারকে বোঝানোর জন্য এক্সপার্ট মেকানিজমকে আহ্বান জানাচ্ছি।”