রোয়াংছড়িতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার এক জুম্ম নারী!

0
741
ছবি: ভিকটিমের লাশ

হিল ভয়েস, ৪ মার্চ ২০২২, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় চুইরংমা মারমা (৪৫) নামে এক জুম্ম নারী ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকার জঙ্গলে কাঠ কাটতে আসা একদল শ্রমিক গণধর্ষণের পর গলা কেটে এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

গতকাল ৩ মার্চ ২০২২ রাত আনুমানিক ১০:১০ টার দিকে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলেচু পাড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী ঞংবাংম্রং নামে এক ঝিরি থেকে চুইরংমা মারমা’র গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত চুইরংমা মারমা’র স্বামীর নাম থুইসাপ্রু মারমা। তারা নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলেচু পাড়া (মহিলা কার্বারি পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮:০০ টার দিকে চুইরংমা মারমা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান গ্রামের পার্শ্ববর্তী নিজেদের হলুদ ক্ষেত থেকে হলুদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সারাদিন কেটে গেলেও চুইরংমা মারমা আর বাড়ি ফেরেননি। সন্ধ্যার পরও চুইরংমা মারমা বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবার ও প্রতিবেশিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং চুইরংমা মারমাকে খুঁজতে শুরু করে। খোঁজার এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ৮:৩০ টার দিকে পরিবার ও গ্রামের লোকজন আলেচু পাড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী ঞংবাংম্রং নামে এক ঝিরিতে চুইরংমা মারমা’র গলা কাটা ও অর্ধনগ্ন লাশ খুঁজে পায়।

এরপর এলাকাবাসী প্রশাসনকে অবহিত করলে রাত আনুমানিক ১০:১০ টার দিকে প্রশাসন লাশটি উদ্ধার করে রোয়াংছড়ি থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুইরংমা মারমাদের হলুদ ক্ষেতের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে একদল শ্রমিক কাঠ কাটতে গিয়েছিল। ওই কাঠ কাটা শ্রমিকরাই জঙ্গলে চুইরংমা মারমাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝিরিতে ফেলে রেখে চলে যায়।

নিহতের বাবা নোয়াপতং ইউনিয়নের নারাইংম্রং পাড়ার বাসিন্দা ফাথুই মারমা বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে চুইরংমা মারমা দীর্ঘ বছর যাবৎ আলেচু পাড়াতে থুইসাপ্রু মারমার সাথে বিয়ে হয়ে সাংসার করছে। বুধবার নিজের হলুদ ক্ষেতে হলুদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে এলাকাবাসীরা মিলে খুঁজতে গিয়ে আমার মেয়ের গলাকেটে হত্যা করা লাশ পাওয়া গেছে।’ এমন ন্যাক্কাজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি করেন নিহতের বাবা।

রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।