সাজেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক এক জুম্মের মাছ চাষের পুকুর দখল

0
1685
ছবি গুগল থেকে: সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়ন (ইসিবি) গেস্টহাউস

হিল ভয়েস, ১৮ জুলাই ২০২০, রাঙ্গামাটিসেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়ন (ইসিবি) কর্তৃক রাঙামাটির জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৯নংপাড়া এলাকার বাসিন্দা রূপায়ন চাকমা (৩৫), পিতা- দিবেরন চাকমার মাছ চাষের পুকুর দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

গতকাল ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার ক্যাম্পে ডেকে সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে তার মাছ চাষের পুকুরটি দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে পুকুরের মালিক রূপায়ন চাকমা অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারীর বরাতে জানা যায়, গত বছরের শেষান্তে রূপায়ন চাকমার ভোগদখলীয় ৫.০ একর পরিমাণ জায়গা দখলের পর তাকে উচ্ছেদ করে সেখানে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়নের (ইসিবি) একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সে সময় ক্যাম্পের দায়িত্বরত সুবেদার মমতাজ ((ইসিবি) জায়গার মালিককে মাছ চাষের উপযোগী একটি পুকুর খনন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুবেদার মমতাজ জায়গার মালিকের জন্য ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর খনন দেন। কয়েক মাস আগে সুবেদার মমতাজ সেই ক্যাম্প থেকে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। তার পরিবর্তে ক্যাম্পে নতুন দায়িত্বে আসেন মোঃ তাহির নামে এক ক্যাপ্টেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ২টার সময় ক্যাম্পে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মোঃ তাহির মোবাইলে যোগাযোগ করে রূপায়ন চাকমা ও স্থানীয় কার্বারী আলো বিকাশ চাকমাকে ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে যান।

ক্যাম্পে গেলে ক্যাপ্টেন মোঃ তাহির ও কার্বারীর সামনে রূপায়ন চাকমার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে তার সেই মাছ চাষের পুকুরটি দখলে নিয়ে নেন। ‘পুকুরটি এখন থেকে ক্যাম্পের মালিকানায় থাকবে’ বলে ভুক্তভোগী রূপায়ন চাকমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রূপায়ন চাকমা দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে বলেন, ‘গত বছরের শেষ দিকে আমার ভোগদখলীয় ৫.০ একর পরিমাণ জায়গায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করার কারণে আমি উচ্ছেদ হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হই। সে সময় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ক্যাম্পে দায়িত্বরত সুবেদার মমতাজ আমার জন্য মাছ চাষের উপযোগী করে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি পুকুর খনন করে দেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বছর পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছি। এখন পুকুরটিও ক্যাম্পের দখলে নিয়ে নেওয়া হলো’। তিনি পুকুর ও জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।