Rally of students and citizens in Thanchi to stop construction of five-star hotel in Chimbuk

More From Author

চিম্বুকে পাঁচতারা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণকারীদের প্রতারণামূলক মিথ্যাচারের বিষয়ে ৯ জুম্ম সামাজিক ছাত্র সংগঠনের বিবৃতি

হিল ভয়েস, ১৮ নভেম্বর ২০২০, পার্বত্য চট্টগ্রাম: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণে উদ্যোগী সংস্থাসমূহের প্রতারণামূলক মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯টি সামাজিক জুম্ম ছাত্র সংগঠন আজ বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলায় চিম্বুক পাহাড় সংলগ্ন কাপ্রু ম্রো পাড়ায় পাঁচতারা হোটেল ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ম্রো জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী মহলের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরও হোটেল স্থাপনে উদ্যেক্তামহল ছল, বল, মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে গতকাল বান্দরবানে মানববন্ধন নামে এক সাজানো নাটক আয়োজন করে। এ নাটক ছিল ম্রো আদিবাসীদের উচ্ছেদের মানববন্ধন।

বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, আন্দোলনরত ম্রো জাতির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের আন্দোলন ও প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বান্দরবানের সেনাবাহিনী নিজেদের ভাবমূর্তিকে রক্ষা করতে এবং পর্যটন স্থাপনাকে বৈধতা দিতে বান্দরবান জেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কৃত কাজী মুজিবরকে দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে যা একটা সুশৃঙ্খল বাহিনীর জন্য মোটেও মর্যাদাকর বিষয় নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কাপ্রু ম্রো পাড়া থেকে নাইতং পাড়া হয়ে জীবননগর পর্যন্ত যে পাঁচতারা হোটেল ও অন্যান্য সুবিধা সংবলিত বিনোদন পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা ওখানকার প্রায় ১০ হাজার ম্রো আদিবাসসীকে উদ্বাস্তু হওয়ার দিকে ঠেলে দেবে। এর ফলে ৪টি গ্রাম সরাসরি উচ্ছেদের কবলে পড়বে এবং ৭০-১১৬টি গ্রাম পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ হোটেল কমপ্লেক্স ঘিরে পর্যটনের যে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠবে তা ম্রোদের সোশ্যাল প্রাইভেসি, তাদের চিরকালীন পরিচিত ও অভ্যস্ত পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে তাদেরকে এক অচেনা জগতের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে, যা তাদের স্বতন্ত্র ঐতিহ্যমন্ডিত জীবিকা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও স্বকীয়তাকে ক্রমশ নির্মূলের পথে ঠেলে দেবে। ম্রোদের সেখানে টিকে থাকাটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়, প্রতিনিয়ত পার্বত্য অঞ্চলে নামে-বেনামে আদিবাসীদের বিভিন্ন জায়গা দখল করে স্থানীয়দের দেয়া নাম বদলে দিয়ে নতুন নামকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে।
বিবৃতিতে, তাই ম্রোদের বাস্তুভিটায় পাঁচতারা হোটেল ও বিনোদন পার্ক স্থাপনের নামে উচ্ছেদের উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ এবং ম্রোদেরকে বারে বারে তাদের জীবন ও জীবিকার উৎস থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র অবসান ঘটানোর জোর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতি প্রদানকারী ৯ টি জুম্ম ছাত্র সংগঠনসমূহ হল- বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল; ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ; বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন; রাঙ্গামাটির রক্তদাতা সংগঠন ‘উন্মেষ’; বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরাম; বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন; দ্য বম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন; বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ খুমী স্টুডেন্টস কাউন্সিল।

More From Author