হিল ভয়েস, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ঢাকা: ঢাকার উত্তরায় চীনে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে এক জুম্ম কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চীনের এক নাগরিকসহ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া চীনের নাগরিক হলেন জি সেন (৫৮) এবং তার সহযোগী হীরা চাকমা (২৫)।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে যে, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, চীনা নাগরিক জি সেন চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেছেন এবং এতে সহযোগিতা করে হীরা চাকমা। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর চীনের নাগরিক জি সেনকে ও তার সহযোগী হীরা চাকমাকে উত্তরার ১৬নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ আগস্ট ২০২৩, সোমবার তাদেরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। কলেজ ছাত্রীটি এখন পরিবারের হেফাজতে আছে।
পরিবারের সূত্র মতে, ভুক্তভোগী জুম্ম ছাত্রীটি একটি সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বর্ষে পড়ে। পাশাপাশি সে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে। ধর্ষক চীনের নাগরিক জে সেনের সহযোগী হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় জুম্ম কলেজছাত্রীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন হীরা চাকমা। তারপর কলেজছাত্রীকে নিজ বাসা থেকে আনতে যায় সহযোগী হীরা চাকমা। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বিমানে করে নিয়ে আসেন হীরা চাকমা।
গত ২৫ আগস্ট ২০২৩, শুক্রবার রাতে চীনের নাগরিক জি সেনের বাসায় উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরে নিয়ে যান হীরা চাকমা। তারপর কলেজছাত্রীকে চীনের নাগরিক জি সেনের রুমে নিয়ে যায় হীরা চাকমা। একপর্যায়ে কলেজছাত্রীর অনিচ্ছা সত্তেও জোরপূর্বকভাবে কলেজছাত্রীর জামা-কাপড় খুলে দেয় জি সেনের সহযোগী হীরা চাকমা। তারপর কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন জি সেন। তারপর দিন ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জি সেনের সঙ্গে বিয়ের কথা বলে ফাদে ফেলা হয় তাকে। পরদিন একই কথা বলে আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কলেজছাত্রীকে রোববার একটি কফি শপে নিয়ে যান জি সেন ও হীরা চাকমা। সেখানে অন্য এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চায় ছাত্রীটি। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।