ভূষণছড়ায় বিজিবি কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীর জমি বেদখলের চেষ্টা ও হুমকি

0
320
ছবি: বিজিবি ঠেগা খুব্বাং বিওপি ক্যাম্প

হিল ভয়েস, ৭ অক্টোবর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাধীন বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে স্থানীয় এক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এক আদিবাসী জুম্ম গ্রামবাসীর ধান্যজমি বেদখলের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এনিয়ে ওই গ্রামবাসীকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ওই গ্রামবাসীর নাম সোনাধন চাকমা, পীং-বুদ্ধমনি চাকমা, গ্রাম-ঠেগা খুব্বাং, ১নং ওয়ার্ড, ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১২ বিজিবি ছোট হরিণা জোনের অধীন ঠেগা খুব্বাং বিওপি ক্যাম্পের দায়িত্বরত কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন সাদেকী আরফান নিলয় স্থানীয় খুব্বাং এলাকার কার্বারি (গ্রাম প্রধান) শ্যামল কান্তি চাকমাকে তার ক্যাম্পে ডেকে পাঠান। কার্বারি শ্যামল কান্তি চাকমা ক্যাম্পে গেলে ক্যাপ্টেন সাদেকী আরফান নিলয় কার্বারিকে জানান যে, তাদের ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী অবস্থিত সোনাধন চাকমার যে ধান্যজমিটা রয়েছে সেটা আর সোনাধন চাকমাকে চাষ করতে দেয়া হবে না।

এরপর কার্বারি শ্যামল কান্তি চাকমা গ্রামে ফিরে এসে বিজিবি’র সিদ্ধান্তের কথা জমির মালিক সোনাধন চাকমাকে জানিয়ে দিলে সোনাধন চাকমাও ঠেগা খুব্বাং বিওপি ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন সাদেকী আরফান নিলয়ের সাথে দেখা করতে যান।

এসময় ক্যাপ্টেন সাদেকী আরফান নিলয় সোনাধন চাকমাকে বলেন যে, ওই ধান্যজমি তিনি (সোনাধন) আর পাবেন না, এটা তাদের (বিজিবি) দখল করতে হবে। এটা ১২ বিজিবি ছোট হরিণা জোনের কম্যান্ডিং অফিসারের (সিও) সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না বলেও ক্যাপ্টেন সাদেকী আরফান নিলয় সোনাধন চাকমাকে বলেন।

জানা গেছে, সোনাধন চাকমার পরিবার পাকিস্তান আমল থেকে ওই জমিতে ধানচাষ করে আসছেন। ওই জমির পরিমাণ .৬০ একর (৬০%)।