শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যার দু’টি কবিতা (তঞ্চঙ্গ্যা ও বাংলা)

১. লাড়াইয়ত যা পইব (তঞ্চঙ্গ্যা)

দেবাবা সায়োকাতিন মেঘুলা অই আইসেত
পাইত, পুকি উন দক্ষিণো কাইতিন এগসা জাগে জাগে উইন যেরন,
কিজানি কি উ’ঠত দিরন, কি দিগিনাই সিনদি যেরন!

মত্তুন তানে দিগি পওয়ান সতপরাই উরেত
মনে কয়েত্তে দাগি দাগি পুসা গইবা
আহ! কি অলরে জাগ বানি কুরু যত্তে তুমি?
কালিগ করা কবা ন সান, কনঅ জাগাত
ন বইলাক যেরন সে যেরন!

দেবা গুসুই উরেত, অসল নিসঅ মওয়াবুন কালা মেঙে দাগা যেরন
সায়োকাতিন গদা আনাগই আইসেত
আরিক’কেয়াগই পশ্চিমঅ কাতিন তুন এক জাক
মানইত সিগুদি উরিলাগ
ও ভাই-বোইন লগ যেরং যেরং লাড়াইয়ত যেরং
পওয়ান কুশিগই সুলাই উর’লঅ
ইনি সাংঙে জাক জাক গই জাঙাল দিগালি হারি যেরন,
পিরত কাঙাল এক্কোওয়া বুক্ষেয়া গই
তানে দিগি বুসিলুং লাড়াইয়ত যা পইব

পিত্তিমিত সায়োকাইতিন বানা জাবুলুক
আহ! কানানি রঅ
পিত্তিমি মারি ভাঙি নিসাৎ যক্কে সক্কে
সায়োকাইতিন দক জুরা অয়ে
দাগঅ জারে চিগন জার রে খাত
বানা খাকি অয়েত
মাইচে মানইত খারন
এগসা দেবা পারাক দক গুসুই গুসুই উরেত
পিথিমি আন
পওয়ান বাসাইবা জাগা সুইত ন পারন
কনে কুরু যেবাক
ব্যায়াক জাগাত লাড়াই চলেত
লাড়াই সারা বাসিবা বঅ নাই
সেনে লাড়াইয়ত যা পইব

লাড়াইয়ত যা পইব আইত্তো-কুরুম পেলাই
যা পইব বোবো-য়োয়ো ননায়া কিবা পেলাই
যা পইব বানা সি আসাই, একদিনা আমা চটলত মোওয়াবাত রাঙা গই দগঅ বেল উরিবো
রাঙাবি তা রাঙাধন পাগি শুরা কারি
গানচাকানি বুনি দিবো
আহ! কুলামুনি পেলাই গিয়া ধলইননত কিবা পুবা
ন দোওয়াই ন-লাসাই ইকুলত যেবো
চটলত গদা জারঅ মানইত এক টুবা অবাক
এক্কোওয়া শুরা নালে উসাইন্নেয়্যা উরিবাক
আমাতুন সেনই’পাগি লাড়াইয়ত যা পইব

রাইত সংবাগত গাঙঅ লামুনি
দুদুখাংওয়া দগই দগই যাত
অলে তেয়ো কবাসাত চটলত দাগঅ গই বুসাল যেবো
দিরিগাই উরিবাক সায়োপালা মইন মওয়া উন
পোওয়ানো ডমা শুলাই দুলি দিবাক কালাচানো দাগিনে
কালাচানে যেবোগই তা-মামু চাটলমনিয়েও নিবোগই
আমা জাগা আমা অবো নওয়াচানে ঘঅত আবো
চটলত নওয়া সংসাত ফি আবো
কুচি দোদোবা নাচিবো
সানোপাগি লাড়াইয়ত যা পইব।

২. বসন্ত ফিরবে এই জুম পাহাড়ে (বাংলা)

বসন্ত কেবলই কাব্য বা কবিতায় নয়
বসন্ত কখনো জাগরণের ধ্বনি কখনোবা দ্রোহের প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে।
জুম পাহাড়ে ৯৭ এক ঐতিহাসিক ফাল্গুন
নতুন করে জেগে ওঠার আখ্যান।

বসন্ত ফিরে আসবে বারে বারে, জুম পাহাড়ের বুকে
অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রামে অনুষঙ্গ হয়ে।
চব্বিশটি বসন্তে জুম পাহাড়ের জুম্ম বীর তরুণ যোদ্ধারা তাজা রক্ত অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে,
হাসি মুখে আপনকে করেছে ত্যাগ।
রাজপথে প্রাণ দিয়েছে কত তরুণ, শত মা-বোন হয়েছে লাঞ্ছিত
ঘরে ফেরেনি শত মায়ের আদরের সন্তান
কত শত বীরের রক্ত মিশে আছে এই জুম পাহাড়ের ভূমিতে
আবার বসন্ত ফিরবে এই জুম পাহাড়ে।

বসন্ত পাহাড়ের বুকে কত যুগ উৎসব হয়ে আসেনি,
এসেছে কখনো বিষাদে, কখনো বিচ্ছেদ হয়ে।
বসন্ত এসেছে সংগ্রাম হয়ে, শাসকের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন হয়ে।
যে রূপেই হোক বসন্ত ফিরবে
বসন্তকে রুখে দেয়ার সাধ্য কার?

More From Author

+ There are no comments

Add yours