হিল ভয়েস, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, রাঙ্গামাটি: গত মাসের (মার্চ) শেষদিকে রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক নিরীহ জুম্মকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ওই জুম্মর নাম লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যা (৫০), পীং-বিচি তঞ্চঙ্গ্যা, গ্রাম-শুগধন পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন।
স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যায়, গত ২৫ মার্চ ২০২৫ লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যা বিলাইছড়ি বাজারে নিজ বাগানের কলা বিক্রি করতে যায়। কলা বিক্রি করার পর হাসপাতাল ঘাট এর মানিক চাকমার দোকানে ভাত খেতে বসেন লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যা। সকাল আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে সেখান থেকেই লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দুপুর প্রায় ১২ টার দিকে লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে বিলাইছড়ি সেনা জোনো নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বিকাল প্রায় ২টার দিকে সেনাবাহিনী লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে বিলাইছড়ি থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এর পরপরই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ জুম্ম নেতৃবৃন্দ বিলাইছড়ি থানায় গিয়ে লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যার মুক্তি দাবি করলেও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। পরে লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে রাঙ্গামাটি জেলখানায় প্রেরণ করা হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলা বিক্রির পর লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যা যখন মানিক চাকমার দোকানে ভাত খেতে বসেন তখন সেনাবাহিনীর স্পাই (তথ্যদাতা) হিসেবে পরিচিত বঙ্গলতলী গ্রামের বাসিন্দা নাগজ্যা চাকমা বগরা পাশে বসে মোবাইলে লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যার ছবি তুলেছিল। ছবি তোলার পর সেই ছবি সেনাবাহিনীকে পাঠায় এবং লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যা একজন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বলে সেনাবাহিনীকে মিথ্যা তথ্য দেয়। তারই সূত্র ধরে পরে সেখানে সেনাবাহিনী এসে বাছবিচার না করে লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ প্রায় ২৫ দিন অতিক্রান্ত হলেও গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার শিকার লাম্বা হুলা তঞ্চঙ্গ্যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।