হিল ভয়েস, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ঢাকা: গত ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সুইজারল্যন্ডের জেনেভা থেকে উত্থাপিত ও প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ‘২৪-এ মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু, আহমদীয়া সম্প্রদায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতার স্বীকৃতি মিললেও তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে উল্লেখ করেছে ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইস্যুকৃত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে গত বছরের আগস্টের শুরু থেকে পরবর্তী সময়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও আহমদীয়া মুসলিম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে নিশানা করে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং মাজার, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনার তথ্য উল্লেখিত থাকলেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত চিত্রের অনুপস্থিতি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের রিপোর্টে বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিচারহীনতা ও প্রতিশোধের চক্রের মধ্যে রয়েছে উল্লেখে বলা হয় আগস্টের শুরু থেকে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আহমদীয়া মুসলিম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তাদের অনেকে দৃশ্যমান দায়মুক্তি পাচ্ছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্বেগকে ‘যথার্থ’ বলে ব্যক্ত করা হয়।
ঐক্য পরিষদ জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিমতের আলোকে গত বছরের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ঘোষিত দায়মুক্তির আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে উল্লেখিত সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলীর বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্যে সরকার প্রধানের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।