চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানীতে আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীবৃন্দ

হিল ভয়েস, ৩ জানুয়ারি ২০২৫, চট্টগ্রাম: গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন উভয়পক্ষের শুনানী গ্রহণান্তে না-মঞ্জুর করেছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নিয়েছেন, এ্যাডভোকেট শংকর চন্দ্র দাশ, এ্যাডভোকেট প্রভাষ চন্দ্র তন্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট দীপ্তিশ হালদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিন্টু চন্দ্র দাস, লিগ্যাল এইড বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সব্যসাচী মন্ডল, নির্বাহী সদস্য হিন্দোল নন্দী, এ্যাডভোকেট রবিন রায়, এ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, এ্যাডভোকেট শেখর দত্ত প্রমুখ।

জামিন শুনানীতে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে পতাকা অবমাননার অভিযোগে যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। সমাবেশের ভিডিওতে ইসকনের পতাকার নিচে যে পতাকাটি ওড়ানো হয়েছে, সেটি আসলে চাঁদ তারা খচিত পতাকা। অর্থাৎ সেটা বাংলাদেশের পতাকা নয়। সেইসাথে পতাকা অবমাননার কোনো ধারা বাদী মামলার সাথে সংযুক্ত করেননি এবং যে পতাকা অবমাননার কথা বলা হয়েছে সেটাও জব্দ তালিকায় নাই। ফলে অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমাণ হয় না।

জামিন শুনানীতে আরো উপস্থাপন করা হয়, বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে পারেন না। এ ধরনের মামলা আমলে নেওয়ারও কোনো এখতিয়ার নাই। মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। এই মামলা ভিত্তিহীন হওয়ায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জামিন পাওয়ার হকদার।

জামিন আবেদনের শুনানিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবীবৃন্দ আরো বলেছেন, তাঁর নির্দিষ্ট ঠিকানা আছে, তাই জামিন পেলে তার পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। সেক্ষেত্রে আমরা নিয়মিতভাবে ট্রায়াল ফেইস করব। জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক ভূইঁয়া যুক্তি তুলে ধরেন যে, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা জামিন অযোগ্য, ফলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

উভয় পক্ষের শুনানী শেষে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন না-মঞ্জুরের আদেশ দেয় আদালত।

More From Author