হিল ভয়েস, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডের ১৯নং ধারায় বর্ণিত উপজাতীয়দের মধ্য হতে একজন মন্ত্রী নিয়োগ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করার বিধান অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থাপিত হয়েছে। ১৫ জুলাই ১৯৯৮ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও ক্ষমতার তালিকা সম্বলিত Rule of Business – এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মবন্টন বা Allocation of Business – এর অসঙ্গতিগুলো সংশোধিত না হওয়ায় উক্ত মন্ত্রণালয়সমূহ এখনো পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিষয়াদি পূর্বেকার মতো সম্পাদন করে চলেছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে কার্যকর হয়ে উঠতে পারেনি। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মবন্টন বা Allocation of Business সংশোধন করা বাঞ্চনীয়।
Rule of Business অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিকট ইহার দায়িত্ব ও ক্ষমতা যথাযথভাবে অর্পণ করা হয়নি। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৯৫% জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসী নয়। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক বিষয়ে সংবেদনশীল নয়।
তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন কার্যকরকরণসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির কোন বৈঠক ডাকা হয় না। বস্তুত উপদেষ্টা কমিটি নামে মাত্র রয়েছে বলে বিবেচনা করা যায়।
বস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের পর বিগত ২৭ বছরেও চুক্তির মৌলিক বিষয়সহ দুই-তৃতীয়াংশ ধারা অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।