হিল ভয়েস, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বিশেষ প্রতিনি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও ও মনিগাঁও পূর্ব হাঁটিগ্রামে গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িঘরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দোয়ারা বাজার লোকনাথ মন্দির এ হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ১৫ লক্ষ টাকা। স্থানীয় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গুরু দে’র বসতভিটি ও পারিবারিক মন্দিরও হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু গ্রামবাসীদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ভয়ে সিলেটসহ অনত্র চলে গেছে।
ইতিমধ্যে আটককৃত মংলারগাঁও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ২০ বছর বয়স্ক পুত্র অকাশ দাসের ফেসবুক পোস্টে কথিতমতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে স্থানীয় হিন্দুদের বিরুদ্ধে কয়েক ঘন্টা ধরে সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এহেন সাম্প্রদায়িক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
আগরতলার বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদ ঐক্য পরিষদের:
গত ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বাংলাদেশ মিশনে মহলবিশেষের হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এক বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদ বলেছে, এ ঘটনা অনাকাঙ্খিত, দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়।
সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদ বলেছে, বিশ্বের প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন যে কোন দেশের নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। এর কোন ধরণের অবমাননা সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার সামিল। কোন দেশের পতাকা নিয়ে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা যে কোন দেশের নাগরিকের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে অত্যাবশ্যক।