পাহাড়ের অতিবিপ্লবীদের নতুন আবদার

দীপায়ন খীসা

পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দল ইউপিডিএফ এখন নতুন আবদার শুরু করে দিয়েছে। তাদের এই নয়া আবদারটি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সংস্কার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলটি নামে বেনামে নানান আবদার করেই চলেছে। সমস্যা হচ্ছে তাদের এই আবদারগুলো মিটানোর জন্য অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলটি নানান ছলনা জারি রেখেছে।

ইউপিডিএফের অভিনয়ের নানান ছলাকলা প্রতিবারই ফ্লপ হচ্ছে । লোকজন তাদের নাটক দেখা ছেড়েই দিয়েছে। পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলটির পরিচলিত ও প্রযোজিত ঐক্য কিংবা এগত্তর যাত্রাপালাটি সুপার ফ্লপ হওয়ার পর দলটি চুক্তি পক্ষের সমর্থকদের বিনাশ করার নয়া তত্ত্ব হাজির করে। কিন্তু জুম পাহাড়ে পরিস্থিতির পুরো উল্টো হাওয়া দেখা যায়।

পাহাড়ের লোকজনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রতি বিপুল সমর্থন কারণে চুক্তি সমর্থকদের বিনাশ তো দূরের কথা, বরং অতিবিপ্লবী দলটির চেলারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিতাড়িত হতে থাকে। এইভাবে মাঠ সংকুচিত হতে দেখে পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলটি নতুন এক নাটক মঞ্চস্থ করার কাজ শুরু করেছে। পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলের পালের গোদা শ্রীমান প্রসিত খীসা ক্ষমতার প্রতি খুবই লোভাতুর। জলপাই বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার খায়েশ নিয়ে খাগড়াছড়ির তৎকালীন বিগ্রেডিয়ারে সাথে একাধিক বৈঠক করে বিজয়ী হওয়ার নীলনকশাও করেছিলেন। কিন্তু শ্রীমান প্রসিত খীসার সেই খায়েশ হালে পানি পায়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অতিবিপ্লবী দলটির নাদুসনুদুস মুখপাত্রটি ইনিয়ে বিনিয়ে পাহাড়ে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে দুচার কথা বলার চেষ্টা করে। নতুন চুক্তির বিষয়টি বাজারে অবশ্য সেটা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। শ্রীমান প্রসিত খীসার ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা তো আর থামিয়ে রাখা যায় না। তাই পাহাড়ের অতিবিপ্লবী দলের পালের গোদা শ্রীমান প্রসিত খীসার লোভাতুর চোখ পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের দিকে। তা মান্যবর পালের গোদা শ্রীমান প্রসিত খীসা আপনি তো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মানেন না। চুক্তির কপি আগুন দিয়ে জ্বালিয়েও দিয়েছিলেন। সেই চুক্তির মাধ্যমে গঠিত আঞ্চলিক পরিষদ সংস্কার হলো, নাকি কুসংষ্কারে নিমজ্জিত হলো? তা নিয়ে আপনার দলের কেন এত মাথাব্যাথা।

আসল বিষয়টি হচ্ছে শ্রীমান প্রসিত খীসার গদির খায়েশ হয়েছে বহুদিন ধরে। এখন তাই নতুন নাটক নিয়ে মাঠে নেমেছে তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। বাছারা আমার, তোমাদের এই নয়া নাটকটি বাজারে তেমন সুবিধা করতে পারবে না। কারণ তোমাদের নাটকের কলাকুশলী, পরিচালক এবং প্রযোজক ঘুরেফিরে সেই তোমরাই। সুতরাং শীতের এই দিনে লেপ তোষক দিয়ে কম্বল মুড়িয়ে নিদ্রা যওায়ায় তোমাদের জন্য অধিকতর মঙ্গল মুত্ত মং।

বাছারা আমার, অহেতুক এই নয়া নাটকটি মঞ্চস্থ করে লোকজনের হাসির খোরাক হওয়া ছাড়া, তেমন কিছু মিলবেনা বলেই মনে হচ্ছে । সুতরাং বাছারা, তোমরা নিশ্চিত থাকো তোমাদের পালের গোদা শ্রীমান প্রসিত খীসার গদির খায়েশ মিটছে না। বরং তোমরা এই গানটিই বেশি বেশি গাও– “আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল / সকলি ফুরায়ে যায় মা / – – – -/ সকলি ফুরায়ে যায় মা”।

More From Author