হিল ভয়েস, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনটি মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে পাথরঘাটার কোতোয়ালীর বান্ডেল রোড, মেথরপট্টি, সতীশবাবু লেন, হরিশচন্দ্র মুন্সেফ লেন, বংশাল রোডে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। পাথরঘাটা মেথরপট্টিতে মন্দির ও ঘরবাড়িতে, হরিশচন্দ্র মুন্সেফ লেনে শান্তনেশ্বরী কালীমন্দির, শতীশবাবু লেইনে জগবন্ধু আশ্রমসহ কয়েকটি মন্দির ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা তৌহিদি জনতা, জামাত-ই-ইসলামি এবং হেফাজতে ইসলাম নামে তিনটি উগ্র ইসলামিক সংগঠনের সমর্থক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘হেফাজতে ইসলাম’ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মিছিল বের করে। মূলত: তৌহিদী জনতার ব্যানারে ইসলামী সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থী দলগুলি এই মিছিল করে। এসব মিছিল থেকে ‘ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি শ্লোগান দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের হিন্দু মহল্লাগুলি এমনিতে পুরুষ শূন্য বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইনজীবী হত্যার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তারপর থেকে হিন্দু বহুল এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। ভয়ে তরুণ, যুবকেরা অনেকেই এলাকা ছাড়া। পথেঘাটে হিন্দুদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইসকন পরিচালিত শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে পৌর শহরের রাণীরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, লাঠি হাতে কিছু মানুষ এসে ভাঙচুর চালিয়ে দ্রুত চলে যায়। এ সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাণীরবাজার এলাকায় একটি ভবনের নিচতলায় শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ অবস্থিত। সেখানে প্রতি রোববার প্রার্থনা ও কীর্তন হয়। রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সংঘটির কার্যালয় খুব বেশি খোলা হয় না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে কিছু মানুষ সংঘটির কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের প্রায় সবার হাতে লাঠি ছিল। পরে কিছু ব্যক্তি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালান।