হিল ভয়েস, ২ নভেম্বর ২০২৪, বান্দরবান: মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন নতুন করে বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার জঙ্গল ও নদীপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত প্রায় এক মাস ধরে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় কিছু দালালের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা প্রথমে আলীকদমে প্রবেশ করে, পরে সেখান থেকে কিছু অংশ আলীকদম সহ আশেপাশে অবস্থান নিচ্ছে, তবে অধিকাংশ কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা প্রথমে জঙ্গলপথে আরাকানের সীমান্তবর্তী আলীকদমে প্রবেশ করছে। এরপর সেখান থেকে রাত ১২টা হতে ভোর ৫টার মধ্যে আলীকদমের মাতামুহুরী নদীর উজান হতে বোটের মাধ্যমে আলীকদম উপজেলা সদরের কাছাকাছি পৌঁছে জঙ্গলে বা নিরাপদ কোনো স্থানে অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে সুযোগ বুঝে অধিকাংশই গাড়ির মাধ্যমে চকরিয়ার দিকে চলে যায়। কিছু অংশ আলীকদম বা আশেপাশের এলাকায় কোনো আত্মীয় বা পরিচিত জনের বাড়িতে থেকে যায়।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিনই এভাবে মায়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গারা আলীকদমে অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গাদের আনয়নের জন্য দৈনিক অন্তত ২/৩টি বোট নিয়োজিত রয়েছে এবং দৈনিক অনুপ্রবেশ করছে অন্তত ৬০/৭০ জন বা আরো বেশি রোহিঙ্গা লোকজন। অন্তত এক মাস ধরে এই অনুপ্রবেশ চলছে বলে স্থানীয়রা জানান, তবে প্রথমদিকে তারা বুঝতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন।
জাফর আলম, পীং-ফরিদুল আলম, গ্রাম-নয়া পাড়া, ৩নং নয়া পাড়া ইউনিয়ন সহ তার আরও সহযোগী কিছু দালাল অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের এই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা দলের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু এবং কয়েকজন পুরুষ থাকে বলে জানা যায়।
সূত্রের ধারণা, পুরুষরা আরাকানে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে, তাই নারীদের এদিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours