মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না: জাতিসংঘকে সেনাপ্রধান

হিল ভয়েস, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ঢাকা: সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন সেনাপ্রধান।

আমেরিকা ও কানাডাতে ১১ দিনের সফর শেষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশে ফেরেনে সেনাপ্রধান। এইদিনিই রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেয়ান পিয়ারি ল্যাকরোয়িক্স, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইলজে ব্রান্ডস খেরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মেদ খালেদ খিয়ারি এবং ডিরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ জেনারেল জাই মেননের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।

এসব বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন সেনাপ্রধান।

এই সময় সেনাপ্রধান জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রুতিশ্রুতি দেন কোনো সেনা সদস্যকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত করা হবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগের অনেক ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন সেনাপ্রধান। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম অবহিত করেন।

More From Author