হিল ভয়েস, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাঙ্গামাটি: গত ২৬ সেপ্টেম্বর, রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন ও ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে জুম্ম গ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক হয়রানিমূলক ব্যাপক টহল অভিযান পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই টহল অভিযানে এক জুম্ম কিশোরকে ব্যাপক মারধর করার এবং ওই কিশোরসহ ৪ কিশোরকে আটক এবং বাড়িতে তল্লাসি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মারধরের শিকার কিশোরের নাম রিমেল চাকমা (১৭), পীং-মৃত সোনাময় চাকমা, গ্রাম-নাড়াইছড়ি সাপছড়ি, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন। পরে রিমেল চাকমা সহ আরো ৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। আটকের শিকার অন্য ৩ জনের পরিচয়- ১. শিমুল চাকমা (১৬), পীং-মানিক চাকমা; ২. সুমন চাকমা (১৭), পীং-বীরোশীল চাকমা; ৩. সুনেন্টু চাকমা (১৮), পীং-নিগিরেময় চাকমা। তাদের বাড়িও নাড়াইছড়ি সাপছড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ দিন ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের মেরাংছড়া সেনা ক্যাম্প থেকে জনৈক কমান্ডারের নেতৃত্বে ৩২ বীর এর ১০/১২ জনের একটি সেনাদল নাড়াইছড়ি সাপছড়ি গ্রামে টহল অভিযানে গিয়ে একটি স্থানীয় চায়ের দোকানে চা খেতে বসে। এসময় রিমেল চাকমাও সেখানে বসে চা পান করছিল। সেনা সদস্যরা তাকে দেখামাত্রই হয়রানিমূলক নানাবিধ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে বেদম প্রহার করে আটক করে। এই সময়ে সেখানে শিমুল চাকমা, সুমন চাকমা ও সুনেন্টু চাকমাও চা খেতে চায়ের দোকানের দিকে আসে। সেনাবাহিনী তাদেরকেও আটক করে।
এরপর সেনাবাহিনী উক্ত ৪ কিশোর ও তরুণকে বেঁধে বিলাইছড়ি সেনা জোনে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েক ঘন্টা আটক রাখার পর শিমুল চাকমা, সুমন চাকমা ও সুনেন্টু চাকমাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও রিমেল চাকমাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
এছাড়া, একইদিন ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ফারুয়া সেনা সাব-জোন ও তক্তানালা সেনা ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন মোঃ সিহাব এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর আরেকটি দল রোয়াপাড়াছড়া গ্রামে টহল অভিযান চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে কমল চাকমা (৪৫), পীং-কালামরত চাকমা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। বাড়ির লোকজন এসময় কাজের জন্য বাইরে ছিলেন।