হিল ভয়েস, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বান্দরবান: গতকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) বান্দরবার উপজেলা সদরের কুহালং ইউনিয়নে সেনাবাহিনী কর্তৃক এক মারমা দোকানদার এবং দুই নারী শিশু ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী মারমা দোকানদারের নাম উহ্লাসাইন মারমা (৪৫), গ্রাম-কিবুক পাড়া, কুহালং ইউনিয়ন এবং তার দুই শিশুর নাম সাইমাউ মারমা (১৬) ও সাথুইমা মারমা (১৩)। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐদিন বিকাল ৫:২০ টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের ডলুপাড়া সেনা জোন থেকে কমান্ডার মোঃ সফিউদ্দিন এর নেতৃত্বে ২৫ জনের একটি সেনাদল পার্শ্ববর্তী কিবুক পাড়ায় টহল অভিযানে যায়।
সেখানে যাওয়ামাত্রই কোনো কথা না বলে, কোনো সময় না দিয়ে সেনা সদস্যরা স্থানীয় দোকানদার উহ্লাসাইন মারমাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এসময় উহ্লাসাইন মারমা তিনি সবেমাত্র গোসল করেছেন বলে জানান। তারপরও সেনা সদস্যরা বারবার নতুন লোকজন দেখেছ কিনা জানতে চাইলে, উহ্লাসাইন মারমা বলেন, আমি নতুন লোকজন গ্রামে কাউকে দেখিনি। এরপর সেনা সদস্যরার উহ্লাসাইন মারমাকে বেধরক মারধর শুরু করে।
এসময় সামান্য দূরে থাকা উহ্লাসাইন মারমার দুই নারী শিশু সন্তান সাইমাউ মারমা ও সাথুইমা মারমা এগিয়ে এসে তাদের পিতাকে মারধর না করতে বলে। সেনা সদস্যরা তখন ওই নারী শিশুকে বেদম মারধর করে। এতে তারা আহত হয়।
সেনাসদস্যরা এসময় দোকানের জিনিসপত্রও তছনছ করে দেয় এবং ভাঙচুর চালায়। সেনাবাহিনী প্রায় এক ঘন্টব্যাপী সেখানে অবস্থান করে। তবে যাওয়ার আগে ভুল তথ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন ডলুপাড়ার জোন কমান্ডার মোঃ সফিউদ্দিন।
এলাকাবাসী জানায়, স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তাদের মিত্ররা এখনও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে এলাকায় নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।