হিল ভয়েস, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, কক্সবাজার: সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সেটেলার কর্তৃক নিরীহ আদিবাসী পাহাড়িদের উপর হামলা, মন্দির, দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সেনাবাহিনীর গুলিতে তিন পাহাড়ি নিহত হওয়া প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য তিন জেলায় দমন-নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ¦লন আয়োজন করেন কক্সবাজারের আদিবাসী ছাত্র-জনতা। এসময় তারা পাহাড়ে দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং মানুষকে বাঁচার মতো বাঁচতে দিতে জোর দাবি জানান।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মং থেন হ্লা রাখাইন, সুফল চাকমা, মা টিন টিনসহ সিপিবি কক্সবাজার জেলা সদস্য জনাব করিম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের বাসিন্দারা জন্মের পর থেকেই সেনাশাসনের মধ্যে বড় হয়েছে। তাদের কোনো প্রকার স্বাধীনতা নেই। এমনকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করা যায় না। পাহাড়ে দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। মানুষকে বাঁচার মতো বাঁঁচতে দিতে হবে।
একই সঙ্গে সম্প্রতি পাহাড়ের নাগরিকদের উপর নির্বিচারে গুলি, বৌদ্ধ উপাসনালয়ের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন কিছু ঘটলে, এটি নিয়ে একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটি আর হতে দেয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ পাহাড়ে কারা এই খেলায় মেতেছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বক্তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয়, আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান।