জুরাছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৩ জুম্মকে আটক এবং ঘরবাড়ি তল্লাশি ও জিনিসপত্র ভাঙচুর

হিল ভয়েস, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের ঘিলাতুলী গ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক বাড়ি তল্লাশি ও জিনিস পত্র ভাঙচুর এবং তিন জন নিরীহ জুম্মকে আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হিল ভয়েসের স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল ৫ ঘটিকার সময় জুরাছড়ি উপজেলাধীন বনযোগী ছড়া জোনের, জোন কমান্ডার জুলকিফলী আরমান বিখ্যাতর নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জনের সেনাবাহিনীর একটি টহল দল উপজেলার ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের ঘিলাতুলী নামক গ্রামে গিয়ে উক্ত গ্রামের বাসিন্দা টুক্কোমুনি চাকমা (৩৫), পিতা- দীপ্তি ময় চাকমা, আলোক প্রিয় চাকমা, পিতা – ফজুবাপ, অধীর চাকমা, পিতা- বগরা চাকমা, সম্মুনি চাকমা (৪২), পিতা- সুর্য্য নাথ চাকমা, এবং উজ্জ্বল চাকমা (৪৫), পিতা- দীপ্তি ময় চাকমার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এবং জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।

একপর্যায়ে তল্লাশি অভিযান শেষে সম্মুনি চাকমা ও উজ্জ্বল চাকমা নামের দুজনকে সেনাবাহিনী আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, বালখালী মুখ পাড়া হতে দেবাশীষ চাকমার বাড়ি থেকে রাত ১২টার দিকে মধ্য বালুখালী গ্রামের বাসিন্দা বিনয় লাল চাকমার ছেলে দিপন চাকমাকে ধরে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তবে উক্ত দিপন চাকমা অরবিন্দু হত্যা মামলার সন্দেহ জনক এজাহার ভুক্ত আসামী বলেও জানা গেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত দুজনকে এখনো ছেড়ে দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ২০২৪, জুরাছড়ি জোন কমান্ডারকে সালাম দেয়নি- এমন তুচ্ছ অভিযোগ থেকেই সেনা সদস্যরা তিন চাকমা পুলিশ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুস সালামের উপর হামলা, জনসাধারণকে মিছিল করতে বাধ্য করা এবং সশস্ত্রভাবে থানায় আক্রমণ, থানাসহ দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা যে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সেনাশাসনেরই এক নগ্ন ও জ্বলন্ত প্রমাণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

More From Author

+ There are no comments

Add yours