খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে ত্রিপুরার সাব্রুমে ব্যাপক বিক্ষোভ ও ধিক্কার মিছিল

হিল ভয়েস, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সংখ্যালঘু জুম্ম আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, হত্যা এবং বাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম শহরে আদিবাসী সহ সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে এক বিরাট ধিক্কার মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্থানে অনুষ্ঠিত উক্ত মিছিল ও সমাবেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের নজিরবিহীন অংশগ্রহণ ঘটেছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। সমাবেশে শুধু জনজাতির লোকজন নয়, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরও ব্যাপক সমাবেশ ঘটে।

সমাবেশে মহারাজা ও তিপ্রা মথার সভাপতি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবন্দ বক্তব্য রাখেন।

বিশাল সমাবেশে মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, যে দেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন রক্ষা করতে পারে না সেদেশের ধ্বংস অনিবার্য। ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে প্রদ্যোত বলেন, বাংলাদেশের দানবীয় হত্যালীলার ঘটনা জাতিপুঞ্জে উত্থাপন করা হোক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর যে নির্যাতন চলছে, তা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স সমস্ত দেশের নজরে আনুক নয়াদিল্লী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর লাগামহীন আক্রমণের প্রতিবাদ জানানো।

মহারাজ প্রদ্যোত কিশোর আরও বলেন, আমি প্রতিবাদ করে যাবো। আজকের এই সমাবেশ তিপ্রা মথার না, এই সমাবেশে শুধুমাত্র জনজাতির লোক উপস্থিত নেই, মুসলিম সমাজের লোক যেমন রয়েছে, তেমনি বাঙালিরাও রয়েছে। আমি এ রাজ্যের সমস্ত লোক নিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করে যাবো।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে মহারাজা প্রদ্যোত বলেন, অবিলম্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, হুজ্জতি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকের উপর আক্রমণ চলতে থাকলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না। ওপারে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজাতির উপর আক্রমণের যে ছক করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে তারা পথে থাকবেন।

More From Author