সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের নিরাপত্তার দাবি এবং শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার আহ্বান ২৯ বিশিষ্ট নাগরিকের

হিল ভয়েস, ৭ আগস্ট ২০২৪, ঢাকা: সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগের নিন্দা ও নিরাপত্তার দাবি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দমন করে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

আজ (৭ আগস্ট ২০২৪) বিবৃতিদাতাদের পক্ষ থেকে শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই বিবৃতিদানের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিদাতারা এবিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও সেনাসদস্যদের কাছে তিনটি আবেদন ও দাবি জানান, অপরদিকে শিক্ষার্থী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্যদের প্রতি তিনটি আহ্বান জানান।

দেশের ২৯ জন শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা, লুটপাট, উপাসনালয়ে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এবং জনমনে নিরাপত্তাবোধ জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে নিম্নোত্ত বিবৃতি প্রদান করেন-

“গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের নামে পুলিশের গুলিতে এবং অন্যান্যদের হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নিরস্ত্র শিক্ষার্থী, শিশু, নারী ও সাধারণ নাগরিক, কিছু পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং সংবাদকর্মী যারা তাদের পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় নিহত হয়েছেন। নিহত ও আহত হওয়ার কোনো বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কার্যকাল শুরু করলেও গত দশ-এগারো বছর ধরে যেভাবে দেশ শাসন করেছেন তা তাকে ক্রমাগত এক স্বৈরশাসকে পরিণত করেছে এবং সব শেষে গত মধ্য জুলাই থেকে তিনি নিজেকে এক নিষ্ঠুর স্বৈর-শাসকের তালিকায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এর ফলেই বিগত দিনগুলিতে আমাদের অভাবনীয় শত শত মৃত্যুর মিছিল প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।

আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হলে তিনি গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ লাখে লাখে রাজপথে তাদের উল্লাস প্রকাশ করেছেন। এত ব্যাপক হতাহতের দায় নিয়ে তার পদত্যাগের দাবি পূরণ হওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-জনতা একটি ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে দেখছেন। জাতির এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে আমরা সংগ্রামী ছাত্র-জনতাকে তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের জন্য অভিনন্দন জানাই। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের সামনে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু একশ্রেণির সুযোগ সন্ধানী মানুষ ও দুস্কৃতিকারী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই পরিস্থিতির শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, আহমদিয়া সম্প্রদায় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষের বাড়িঘরে হামলা করছে, অগ্নিসংযোগ ও শারীরিক নির্যাতনে লিপ্ত হয়েছে। একই সাথে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা লক্ষ করছি যে, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় তারা বিভিন্ন থানা আক্রমণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও দলিলপত্র লুটপাট ও বিনষ্ট করেছে। যদিও আমরা জানি যে পুলিশের অনেক সদস্য বিগত দিনে নানা অন্যায়-অনাচার করেছেন, বিশেষত আন্দোলনের সময় তাদের অনেককে হত্যাকারী ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে, তাই এইসব হামলার সাথে হয়ত সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের ক্ষোভ যুক্ত থাকতে পারে। তবে সেটাই একমাত্র কারণ নয়, সদ্য ক্ষমতাহারা হেলমেট বাহিনীর লোকজন এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক দুস্কৃতিকারী মহল যারা এদেশকে পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলাবিহীন জনপদে পরিণত করতে চায় এই আক্রমণ, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোতে তাদের ইন্ধন রয়েছে বলে আমাদের আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ আছে।

আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ যে গত কয়েকদিনে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, মেহেরপুর, ঢাকাসহ দেশের কমপক্ষে ৩৫টি জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা নন পঞ্চগড় ও রংপুর জেলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা সংবাদপত্রের খবরে জানতে পেরেছি। একইসাথে রাজশাহী, দিনাজপুর, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ ও পটুয়াখালীতে আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং জামালপুরে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) নাগরিকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিনানিপাত করছেন। এই সকল জনগোষ্ঠীর মানুষেরা সকল জেলা ও অঞ্চলে যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। এই অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ, সেনাবাহিনীর প্রধান এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্যে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধের কথা বলেছেন তারপরও আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, বাস্তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিও তেমন দৃশ্যমান নয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশে আইন-শৃঙ্খলা অমান্য করা, লুটপাটকে অবারিত করা এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমাদের কিছু জাতীয় স্থাপনা আক্রান্ত হয়েছে বিশেষত প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন যেটা এখন যাদুঘর সেটিও আক্রান্ত হয়েছে। এই হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। কারণ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় এবং মুক্তিযুদ্ধ যার নেতৃত্বে হয়েছিল তাকে অসম্মান করার অর্থ হলো মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র-জনতার এই মহান বিজয়কে কলঙ্কিত করা, সেটি আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সম্মিলিতভাবে এ ধরনের যে কোনো কার্যকলাপের প্রতিবাদ করতে হবে।

সর্বোপরি স্বাধীন সার্বভৌম এই রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, আহমদিয়া ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের ওপর হামলা, তাদের নিরাপত্তাহীনতা ও জনমনে ভয়-ভীতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া চলবে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দসহ, বৃহত্তর নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সকল বন্ধুদের আরো দৃঢ়ভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান এবং তাদের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও সেনাসদস্যদের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন ও দাবি-

১. যে কোনো ধরনের অরাজকতা, সহিংসতা, হামলা, লুটতরাজের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ দেশব্যাপী সকল জেলা ও উপজেলায় সেনা মোতায়েন ও তাদের সদা সক্রিয় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন এবং মাঠ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট নেয়া জরুরি।

২. সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, আহমদিয়া ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের বাড়িঘর, দোকানপাটসহ সকল স্থাপনা, মন্দির, গীর্জাসহ সকল উপাসনালয়ের সুরক্ষা দিতে হবে। তার জন্য বিশেষ নির্দেশনা গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে।

৩. মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অসম্মান করার সকল অপতৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর উস্কানী/ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষার্থী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান-

৪. শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে তাদের বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রতিরোধ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জনসম্পদ সুরক্ষার বিষয়টি প্রতিনিয়ত বলতে হবে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের এই বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি কার্যকর সুরক্ষায় তাদের স্বেচ্ছাসেবা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. এ সকল ব্যাপারে গণমাধ্যমের সোচ্চার ভূমিকা আরো জোরদার করতে হবে।

৬. সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও অভিভাবক সমাজ, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা প্রতিরোধ, গণলুটপাট, থানা আক্রমণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবার যেকোনো প্রচেষ্টাকে ঐকবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

আমরা গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এক স্বৈরশাসন, লুণ্ঠন ও দমন-পীড়নের রাজত্বের অবসান দেখেছি। এই জনপদে আরেক লুণ্ঠন ও ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক এটা কারো কাম্য নয়। এখানে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলেই নিরাপদে থাকবে এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে স্ব স্ব জায়গায় সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা সামাজিক শক্তি, নাগরিক সমাজের কাছে ও শিক্ষক সমাজ কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন ধারাবাহিকভাবে এই দায়িত্বে সক্রিয় থাকেন। গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার যে ঐতিহাসিক সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে তাকে ব্যর্থ করার কোনো অপপ্রয়াস সফল হতে দেয়া যাবে না। আসুন সবাই সেই শপথে ঐকবদ্ধ হই।”

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষরদাতা বিশিষ্ট নাগরিকগণ হলেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী; ২. ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী; ৩. খুশী কবির, নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী; ৪. রাশেদা কে. চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, গণস্বক্ষরতা অভিযান; ৫. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বেলা; ৬. এড. জেড আই খান পান্না, সিনিয়র আইনজীবী ও চেয়ারপার্সন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র; ৭. সেলিম সামাদ, সিনিয়র সাংবাদিক; ৮. ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ৯. শিরীন হক, সদস্য, নারীপক্ষ; ১০. কাজল দেবনাথ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; ১১. এড. তবারক হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; ১২. এড. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; ১৩. ড. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ১৪. ড. ফস্টিনা পেরেইরা, মানবাধিকার আইনজীবী; ১৫. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; ১৬. মনীন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারাণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; ১৭. ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অনারারি নির্বাহী পরিচালক, ব্লাস্ট; ১৮. রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট; ১৯. মাকসুদুল হক, ব্যান্ড শিল্পী; ২০. তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ২১. অধ্যাপক বীনা ডি কস্তা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ২২. সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; ২৩. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন; ২৪. ফারহা তানজিম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; ২৫. ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ২৬. নাসের বখতিয়ার, সাবেক ব্যাংকার; ২৭. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী; ২৮. দীপায়ন খীসা, সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও ২৯. মুক্তাশ্রী চাকমা, নারী অধিকারকর্মী।

More From Author

+ There are no comments

Add yours