হিল ভয়েস, ২৯ আগস্ট ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া সেনা জোনের জোন কমান্ডার জুলফিকলী আরমান বিখ্যাত দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা অপব্যবহার করে জুরাছড়ি এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল (২৮ আগস্ট) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীর সূত্রে আবারও এই চাঁদাবাজির খবর পাওয়া গেছে। তারা বলেন, সম্প্রতি জোন কমান্ডার প্রত্যেক কাঠ বা অন্যান্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হয় সিমেন্ট বা লোহার রড বা অন্যান্যা সামগ্রী অথবা নগদ অর্থ নিয়ে থাকেন।
জোন কমান্ডারের সাম্প্রতিক চাঁদাবাজির কয়েকটি উদাহরণ হল-
(১) রাঙ্গামাটির কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ জাকির এর কাছ থেকে নিয়েছেন ১০০ বস্তা সিমেন্ট।
(২) সংখু চাকমা নামে আরেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়েছেন ৩০০ কেজি লোহার রড।
(৩) জুরাছড়ির শীলছড়ি এলাকার ব্যবসায়ী জিতুলাল চাকমার কাছ থেকে নিয়েছেন ১০০ বস্তা সিমেন্ট।
(৪) রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ী মোঃ শাহ আলমের কাছ থেকে নিয়েছেন ১০০ বস্তা সিমেন্ট।
(৫) রাঙ্গামাটির আরেক ব্যবসায়ী মোঃ হিরা’র কাছ থেকে নিয়েছেন ৩০০ কেজি লোহার রড।
আরো জানা যায়, এ জাতীয় কোনো সামগ্রী না দিলে নাকি কোনো মালামালই তিনি ছাড় দেন না। এছাড়া কাঠ নেয়ার প্রতি পারমিট থেকে প্রতি ফুটে ৫০ টাকা হারে নেন। আবার একটি কাঠের পারমিট নিলে তার জন্য ৩০ লগ সেগুন গাছ দিতে হয়।
সম্প্রতি সিগারেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি প্রতিমাসে ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন বলে জানা যায়। এছাড়া জুরাছড়ি সদরের কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ কাশেম ও গরু ব্যবসায়ী মোঃ সাহাবুদ্দিন এর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন বলে খবর পাওয়া যায়।
ধারণা করা হয়, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা সিমেন্ট ও লোহার রডগুলো পরে তিনি ক্যাম্প বা সেনাবাহিনীর জন্য কিনেছেন বলে হিসেবে দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন অথবা বিক্রি করেন।
+ There are no comments
Add yours