হিল ভয়েস, ২৩ আগস্ট ২০২৪, খাগড়াছড়ি: গতকাল (২২ আগস্ট ২০২৪) বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তালতলী পাড়া এলাকায় সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক চাকমা নারী (৪০) ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, আট জন সেটেলার বাঙালি ঐ জুম্ম নারীর ঘরে গিয়ে, তাদের মধ্যে সাত জন দুর্বৃত্তই ওই নারীকে জোরপূর্বক ঘর থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী ও তার মেয়ে ৮ জন সেটেলার বাঙালির মধ্যে ৩ জনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। তারা হল- (১) মোঃ ইউসুফ (২২), পিতা-মোঃ ইসমাইল, (২) রানা ও (৩) মোশাররফ। তাদের সকলের বাড়ি পাতছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নাকাবা রসুলপুর এলাকার কুমিল্লা কলোনিতে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গতরাতে ভুক্তভোগী নারী ও তার এক কিশোরী মেয়ে রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়িটি মূল গ্রাম থেকে সামান্য বিচ্ছিন্ন। বাড়ির আশেপাশে সেটেলারদের ফলমূলের বাগান রয়েছে। প্রতিদিন সেটেলাররা তাদের সাথে ঝামেলা বাঁধাতে চাইত। কোনো কোনো সময় তাদের বাড়ির ক্ষেতে গরু-ছাগল বেঁধে দিয়ে যেত। গতকাল রাত ১১টার দিকে ৮ জনের একদল সেটেলার বাঙালি বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে ঝাপটে ধরে এবং মা ও মেয়েকে আলাদা করে ফেলে। ৭ জন সেটেলার মাকে ধরে জোরপূর্বক বাগানের দিকে নিয়ে যায়। মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে দিয়ে তার সাথে মোঃ ইউসুফ নামে একজনকে রেখে যায়। ইউসুফ মেয়েটির মুখে কাপড় বেঁধে দিতে চাইলে, মেয়েটি ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এরপর মেয়েটি কোনোরকমে পার্শ্ববর্তী পৈলাক খাল পার হয়ে তালতলী মূল গ্রামের বাসিন্দাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী একতাবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে দেখেন মেয়ের মা উস্কোখুস্কো অবস্থায় বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে এলাকাবাসী পুরো বাগান ও বাড়ির আশপাশ এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজেন। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক যোগাযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী মেয়ের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তার মাকে বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।
এলাকাবাসী গতরাতেই রসুলপুর এলাকার এক মেম্বারকে জানালে তিনি আজ গ্রামের মুরুব্বিসহ সকলে মিলে একটি সালিশী বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা এবং তাদের কাউকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours