হিল ভয়েস, ১০ এপ্রিল ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদন: বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচিতে সেনাসৃষ্ট কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বিগত তিন দিন ধরে যৌথ বাহিনীর তথাকথিত অভিযানে ৫৪ জন আদিবাসী বম নর-নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল (৯ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্য থেকে ৫২ জনকে বান্দরবান জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে যৌথ বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে সাধারণ ও নিরীহ বম জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষদের গ্রেপ্তার এবং নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। যৌথ বাহিনী গ্রাম এলাকার জুম্মদের ৫ কেজির বেশি চাল কিনতে বাধা দিচ্ছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক এর গতি কমিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রুমা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্তত ৪৯ জন নর-নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নারী, ২ জন অন্তঃসত্তা নারী, ৮ জন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্যরা সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, বাগান চাষী, মজুর ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদের প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট পেশা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকায় পড়াশোনা করছেন, যারা মাত্র কয়েকদিন পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
সেনা অভিযানে নিপীড়ন ও হয়রানির ভয়ে ইতোমধ্যে মুননোয়াম পাড়া, বেথেলপাড়া, হ্যাপিহিল পাড়া, বাচত্লাং পাড়া, আর্থা পাড়া ইত্যাদি বম গ্রামের লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দরবানের এক অধিকার কর্মী বলেন, ঘটনার পরপরই কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার ৩/৪ দিন পর যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে। ইতিমধ্যে আসল অপরাধীরা হয়ত নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। কিন্তু এখন সাধারণ ও নিরীহ জনগণকে গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে এবং এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈ কিছু নয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২ এপ্রিল, রাত ৯ টার দিকে জাওরিন লুসাই (৪২) এর নেতৃত্বে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ১৩ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখায় ডাকাতি করে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং ব্যাংক ম্যানেজারকেও অপহরণ করে। যদিও পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশাসন কর্তৃক উক্ত টাকা খোয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়।
এর পরদিনই ৩ এপ্রিল, দুপুর ১২ টার দিকে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের আরো একটি সশস্ত্র দল বান্দরবান জেলারই থানচি উপজেলার পাশাপাশি দুটি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে ১৯ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে জনসমক্ষে কেএনএফ কর্তৃক পুলিশ ও বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যে অবস্থিত ব্যাংকে এধরনের সফল ডাকাতির ঘটনায় সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
উক্ত ডাকাতির ঘটনার পরপরই গত ৭ এপ্রিল থেকে সরকারের যৌথ বাহিনী বান্দরবান এলাকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে প্রচার করা হয়। যৌথ বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনী, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন অন্তভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, এর পূর্বে গত ৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পুলিশ বান্দরবান সদর উপজেলার রেইচা চেক পোস্ট থেকে বম সম্প্রদায়ের এক তরুণী ও দুই তরুণকে আটক করে। পরে তাদেরকে ডাকাতির মামলায় জড়িত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তারাও নিরীহ এবং ঢাকা থেকে বান্দরবানে ফিরছিলেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ গত ৫ মার্চ ২০২৪ তারিখ রুমায় বেথেল পাড়ায় সেনা ও ডিজিএফআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা’র নেতৃত্বাধীন শান্তি কমিটির সাথে বৈঠক করে কেএনএফ। বৈঠকে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কেএনএফ। বৈঠকের পর এক মাস যেতে না যেতেই সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই ব্যাংকসমূহে কেএনএফের এমন সফল ও নাটকীয় ডাকাতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আরো উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ২০০৮ সালে নাথান বম ও ভাংচুনলিয়াম বমের নেতৃত্বে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের ইন্ধনে কেএনডিও-এর নাম পরিবর্তন করে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নাম রেখে সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু করা হয়।
পরে একটি ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীকে অর্থের বিনিময়ে আশ্রয় ও সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের খবর প্রচার হলে আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে সেনাবাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে বাধ্য হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআই কৌশলে কেএনএফকে মদদ দিতে থাকে। ২-৩ এপ্রিল সেনাবাহিনী ও পুলিশ ক্যাম্পের সন্নিকটস্থ পর পর তিনটি শাখার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাও সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের মদদ ছাড়া কেএনএফের পক্ষে কখনো সম্ভব হতো না বলে সংল্লিষ্ট অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে বম পার্টি খ্যাত কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তথাকথিত যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ ও নিরস্ত্র বম গ্রামবাসীদের নির্বিচারে ধরপাকড়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনমতকে বিভ্রান্ত করে ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত কেএনএফের সন্ত্রাসীদের প্রকারান্তরে রক্ষা করা বৈ কিছু নয় বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
রুমা এলাকা থেকে যৌথ বাহিনীর গণগ্রেপ্তারের শিকার ৪৯ (নারী ১৮ জন ও পুরুষ ৩১ জন) এবং রেইচা চেক পোস্টে ধৃত তিনজন নিরীহ বম নর-নারীর পরিচয় নিম্নরূপ:
আটককৃত নারী গ্রামবাসীরা হলেন-
১। আজিং বম (২০), স্বামী-আরিনহ্ বম, পিতা-জিংরোয়াত বম, মাতা-হলচেও বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
২। লালসিং পার বম (৩০), স্বামী-আলিম বম, পিতা-লিয়ান জুয়াম বম, মাতা-পার এং ময় বম, গ্রা-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
৩। ভান রিন কিম বম (৩৬), স্বামী-তোলয়াং পুই বম, পিতা-জোয়াম বিল বম, মাতা-থন লিয়াং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান, পেশায় বাগান চাষী।
৪। আতং বম (৩০), স্বামী-পালেন বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
৫। আলমন বম (২২), পিতা-সিয়ান খুপ বম, মাতা-রিয়াল নেম বম, সাং-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি একজন ছাত্রী, ডিগ্রী ২য় বর্ষ, বান্দরবান সরকারি কলেজ।
৬। লাল মুন এং বম (১৯), পিতা-তনয়াই বম, মাতা-লালদন কিম বম, গ্রা-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
৭। লাল নুন জির বম (৩৪), পিতা-মৃত পুনসাং বম, মাতা-টয়ান কিল বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
৮। মেলরি বম (২৬), পিতা-জিংআলহ বম, মাতা-মৃত পাকতিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
৯। লাল নুন বম (২৪), পিতা-লম জুয়াল বম, মাতা-সাংকিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি অন্ত:সত্তা বলে জানা গেছে।
১০। নেম পেন বম (৩৮), স্বামী-সাংলিয়ান বম, পিতা-তোয়ার থন বম, মাতা-লাল জিন ময় বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
১১। এলিজাবেথ বম (৩০), স্বামী-ভানলাল দিক বম, পিতা-এলিয়াতন বম, মাতা-ননকিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় সহকারী শিক্ষক, পেন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি ৪ মাসের অন্ত:সত্তা বলে জানা গেছে।
১২। লাল ত্লাহকিম বম (৩০), পিতা-লালতন লিয়ান বম, মাতা-চেউতোয়ার বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় রুমার পার্বত্য শিশু উন্নয়ন প্রোগ্রাম-এ কর্মরত।
১৩। পারঠা জোয়াল বম (১৯), পিতা-লালতন লিয়ান বম, মাতা-চেও তোয়ার বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ঢাকার ওয়াইডাব্লিউসিএ কলেজের ছাত্রী।
১৪। জিং রোন এং বম (৩২), পিতা-মৃত চমনিন বম, মাতা-তিন এং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী ও দিন মজুর।
১৫। লাল নুন কিম বম (২৫), পিতা-লালতন লিয়ান বম, মাতা-চেও তোয়ার বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্রী, বিএ ২য় বর্ষ, বান্দরবান সরকারি কলেজ।
১৬। টিনা বম (১৮), পিতা-লাল রুয়াই বম, মাতা-জিংনুন ময় বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্রী, একাদশ শ্রেণি, সেন্ট যোসেফ কলেজ, সাভার, ঢাকা।
১৭। লেরী বম (২৩), পিতা-লাললম সাং বম, মাতা-লালপার ময় বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
১৮। শিউলি বম (২১), পিতা-হ্লাং খুম বম, মাতা-দাংজিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
আটককৃত পুরুষ গ্রামবাসীরা হলেন-
১। সাপলিয়ন থাং বম (২১), পিতা-লাল মুন সাং বম, মাতা-থোয়াং কিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় একজন ইলেকটিশিয়ান, রুমা পল্লী বিদ্যুৎ।
২। লাল রিন সাং বম (২৫), পিতা-নলথন বম, মাতা-দৌসিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
৩। সাইরাস বম (২৫), পিতা-সানথিয়াং বম, মাতা-লাল মিননেম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
৪। মুন থাং লিয়ান বম (৩৩), পিতা-মৃত চম নিন বম, মাতা-তিন এং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় একজন টুরিস্ট গাইড, রুমা।
৫। পাছুং বম (৪৪), পিতা-সান থিয়াং বম, মাতা-মৃত রনজিং বম, সাং-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
৬। ভান লাল দিক বম (৩২), পিতা-লাল লুং থাং বম, মাতা-লাল নুন সিয়াম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি একজন প্রাইভেট শিক্ষক।
৭। জাসুয়া বম (৪২), পিতা-লাল মুন সাং বম, মাতা-থুয়াং কিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় সমিল মিস্ত্রি, পলি সমিল, রুমা।
৮। ভারৌ সাং বম (৩২), পিতা-রেম নিয়ার বম, মাতা-বিল থিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় একজন গ্রাম পুলিশ, রুমা।
৯। নলথন বম (৫৫), পিতা-সাংসিং বম, মাতা-টুয়ার থুয়াং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান।
১০। লাল স্ক্লেং কিং বম (২৯), পিতা-লালমিন লিয়ান বম, মাতা-পেনা ক্লিয়ার বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
১১। লিয়ান লুয়াই থাং বম (২৪), পিতা-মৃত সাই ইয়াং বম, মাতা-সেম জিয়ার বম, গ্রাম-বাসতøাং পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ১ নং পাইন্দু ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্র, শান্তা মরিয়ম ইউনিভার্সিটি, উত্তরা, ঢাকা।
১২। লাল রাম তিয়াম বম (৪৪), পিতা-সিমথান বম, মাতা-রৌসুম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বাকত্লাই পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
১৩। লালদাম লিয়াম বম (৩৬), পিতা-জালিয়ান লাল বম, মাতা-রিয়াল নেম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় নৈশ প্রহরী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, রুমা।
১৪। লম জুয়াল বম (৫০), পিতা-মৃত সাং খন বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
১৫। রাম থাং লিয়ান বম (১৭), পিতা-জিং সাং বম, মাতা-জির ভ্লিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্র, দ্বাদশ শ্রেণি, নটরডেম কলেজ, ঢাকা।
১৬। গিলবার্ট বম (১৭), পিতা-লাল রাম লিয়ান বম, মাতা-লাল দুহ সার বম, গ্রাম-বাসাত্লাং পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ১ নং পাইন্দু ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্র, একাদশ শ্রেণি, কাজি আজিমউদ্দিন কলেজ, গাজীপুর, ঢাকা।
১৭। ভান রুয়াত ময় বম (২৩), পিতা-লাল তুয়ার বম, মাতা-সিম তিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি চাকুরিজীবী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, রুমা।
১৮। লাল ইমানুএল বম (৪৩), পিতা-জিং আল বম, মাতা-থাম ফ্লামির বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি চাকুরিজীবী, পার্বত্য শিশু উন্নয়ন প্রোগ্রাম, রুমা।
১৯। লালমুন লিয়ান বম (২৮), পিতা-লাল থান কুম বম, মাতা-লাল জিং ঙেন বম, সাং-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান।
২০। লাল থাং পুই বম (১৯), পিতা-মৃত লাল ময় থাং বম, মাতা-লাল সিয়াম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি ছাত্র, এইচএসসি পরিক্ষার্থী, রুমা সাংগু কলেজ।
২১। জেমস মিলটন বম (৩৪), পিতা-কং ক্লিয়ার বম, মাতা-পাক ত্লেম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি দপ্তরী, বেথেল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা।
২২। রোসাং লিয়ান বম (৩০), পিতা-বিয়াক থন বম, মাতা-সিয়াম কুং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি একজন চাকুরিজীবী, ব্র্যাক, রুমা।
২৩। লাল রোয়াত লম বম (৪৫), পিতা-রাম সিম বম, মাতা-জুয়াম থিলং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি একজন ধর্ম যাজক, ইসিসি চার্চ, রুমা।
২৪। লাল দিন থার বম (৪০), পিতা-দং নিন বম, মাতা-ঙোন ফেন বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিকলীগ এর নেতা, রুমা।
২৫। জৌনুন সাং বম (৪৫), পিতা-চেও দির বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় হিসাব রক্ষক, পার্বত্য চট্টগ্রাম শিশু উন্নয়ন প্রোগ্রাম, মুননুয়াম, রুমা।
২৬। রেম থন বম (৬০), পিতা-অং চেও বম, মাতা-সিয়াম জিং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী।
২৭। পেনাল বম (৬০), পিতা-মৃত চয়তিম বম, মাতা-তিল থং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় বাগান চাষী, দিন মজুর।
২৮। রুয়াল কম লিয়ান বম (৫৫), পিতা-সাপইয়াং বম, মাতা-মৃত ঙুন চেও বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় সরকার চাকুরিজীবী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, রুমা।
২৯। লাল রাওখম বম (৩৭), লাল জা লিয়ান বম, মাতা-এলি জেবথ বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। তিনি পেশায় বাগান চাষী ও জুম চাষী।
৩০। ভান লাল সম বম (৩৪), পিতা-রেম নিয়ার বম, মাতা-কিল সিম বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক।
৩১। লাল রুয়াই বম (৫২), পিতা-সান থিয়াং বম, গ্রাম-বেথেল পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, ২ নং রুমা সদর ইউপি, রুমা, বান্দরবান। পেশায় বাগান চাষী ও দিন মজুর।
ঢাকা থেকে বান্দরবানে ফেরার পথে রেইচা চেক পোস্টে আটকৃকতরা হলেন-
১। জেমিনিউ বম (২২), গ্রাম-সিমত্লাংপি পাড়া, থানচি উপজেলা,
২। ভাননুন নুয়াম বম (২৩), রোনিন পাড়া, রোয়াংছড়ি উপজেলা এবং
৩। আমে লনচেও বম (২২), গ্রাম-সিমত্লাংপি পাড়া, থানচি উপজেলা।