হিল ভয়েস, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচিতে সেনাসৃষ্ট কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর পরিচালিত তথাকথিত অভিযানে বিগত সাত দিনে আরও ২৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং ১২ জনকে সাময়িক আটক করে হয়রানি করা হয়েছে।
এ নিয়ে গ্রেপ্তার ও আটকের শিকার আদিবাসী জুম্ম নারী ও পুরুষের সংখ্যা দাঁড়ালো সর্বমোট ৭৭ জন। পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত ৫৪ জন বম নারী ও পুরুষের মধ্যে অধিকাংশই নিরীহ হলেও তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে যৌথ বাহিনী কর্তৃক শুরু থেকেই নির্বিচারে সাধারণ ও নিরীহ বম জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষদের গ্রেপ্তার এবং নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠছে। ইতিপূর্বে কেবল বম সম্প্রদায়ের লোকদের গ্রেপ্তার করা হলেও সম্প্রতি আটককৃতদের অধিকাংশই ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নিরীহ গ্রামবাসী বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দরবানের এক মানবাধিকার কর্মী বলেন, ডাকাতি ঘটনার পর যৌথ বাহিনী এ পর্যন্ত কেএনএফ-এর কোনো সক্রিয় ও সশস্ত্র সদস্যকে আটক করতে পারেনি এবং লুণ্ঠিত অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু বান্দরবান সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে, জনগণের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী কেএনএফ দমনের নামে অভিযান পরিচালনা এবং নিরীহ জনগণকে নির্বিচারে আটক ও গ্রেপ্তার করছে।
গত ১৬ এপ্রিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন তার এক প্রেস বিবৃতিতে, কিছু কেএনএফ সদস্যের কর্মকান্ডের কারণে সমগ্র বম সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং সম্মিলিত শাস্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে নিরীহ নাগরিকদের মুক্তি ও সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গতকাল ১৬ এপ্রিল ২০২৪ যৌথবাহিনী অভিযানের সময় বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন থেকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৮ নিরীহ গ্রামবাসীকে আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গতকাল সকালের দিকে ওই গ্রামবাসীরা নিজেদের গরু খুঁজতে পাশর্^বর্তী জঙ্গলে যায়। যৌথবাহিনী খবর পেয়ে ওই গ্রামবাসীদের ধরে নিয়ে আসে। আটককৃত উক্ত গ্রামবাসীরা হলেন- বড়থলি ইউনিয়নের শেপ্রু পাড়া গ্রামের বীরবাদু ত্রিপুরা (৩০), গুণীজন ত্রিপুরা (৫০), বীর্নজয় ত্রিপুরা (২০), শিমন ত্রিপুরা (২৫), ধুপপানিছড়া পাড়ার কার্বারি জাতিরায় ত্রিপুরা (৪১), প্যাট্রিক ত্রিপুরা (২৬) এবং হাতিছড়া পাড়া থেকে জ্যাকব ত্রিপুরা (৩২) ও কৃষ্ণচন্দ্র ত্রিপুরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুরুব্বি বলেন, কেএনএফ-এর সাথে উক্ত গ্রামবাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও যৌথবাহিনী এই গ্রামবাসীদের কেএনএফ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
একইদিন (১৬ এপ্রিল) সেনাবাহিনী বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা বড়ুয়াটেক নামক স্থান থেকে খ্রিস্টান মিশনারি হোস্টেল এর সুপার অলিয়া বম (২৬), পীং-ভানমুনসিয়ান বম, গ্রাম-গেৎসিমানি পাড়া নামে একজন বম নারীকে আটক করে।
এর পূর্বে গত ১৪ এপ্রিল ২০২৪ যৌথবাহিনী রুমা উপজেলার বেথানি ত্রিপুরা পাড়া থেকে কেএনএফ-কে সহযোগিতা করার কারণ দেখিয়ে কার্বারি রতিচন্দ্র ত্রিপুরা (৫৮), পীং-গঙ্গামনি ত্রিপুরা; নটরডেম কলেজে পড়ুয়া ছাত্র কার্বারির ছেলে সুকান্ত ত্রিপুরা (২১); রখাচন্দ্র ত্রিপুরা (২১); আব্রাহাম ত্রিপুরা (৩০); পিন্টু ত্রিপুরা (৩০),পীং-শৈতোহা ত্রিপুরা এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১ জন সহ মোট ৬ জন নিরীহ ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে আটক করে। আটকের পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ ধরে আটককৃতদেরকে ‘কেএনএফের ক্যাম্প কোথায় এবং কতদিন ধরে কেএনএফ সদস্যরা বেথানি পাড়াকে কেন্দ্র করে অবস্থান করছে?’ ইত্যাদি প্রশ্ন করে রাতেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনী কেএনএফ বিরোধী অভিযান শুরু করার পরপরই বম অধ্যুষিত লাইরুনপি পাড়া, মুনলাই পাড়া ইত্যাদি পাড়াগুলোর সাধারণ বম জনগণ পাড়া ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ফলে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা মুনলাই পাড়ার পার্শ্ববর্তী বেথানি পাড়াকে কেন্দ্র করে অবস্থান করে আছে বেশ কিছুদিন ধরে।
একই দিন (১৪ এপ্রিল) পুলিশ সাম্প্রতিক রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সন্দেহভাজন আসামী বলে বান্দরবান সদর থেকে বম জনগোষ্ঠীর আরও ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লাল রৌবত বম (২৭), পীং-লাল মিন সাওম বম, গ্রাম-রেমাক্রি প্রাংসা; লাল লোম খার বম (৩১), পীং-লিয়ান জুয়াম বম, গ্রাম-কুহালং; মিথুসেল বম (২৫), পীং-রুয়াল লাই বম, গ্রাম-পাইন্দু ইউনিয়ন এবং লাল রুয়াত লিয়ান বম (৩৮), পীং-রামকুপ বম, গ্রাম-বান্দরবান সদর।
গত ১৩ এপ্রিল, রাত ৯:৩০টায়, সেনাবাহিনী রেইচা সেনা চেকপোস্টে বান্দরবান থেকে ঢাকাগামী একটি শ্যামলী বাস থেকে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাংসিংময় বম (২১), পীং-লাল তিন খুম বম, গ্রাম-লাইমি পাড়া; ঢাকা প্রাইম কলেজ অফ নার্সিং-এর ছাত্রী রাম ঝাউ কিম বম (২২), পীং-লাল তিন খুম বম, গ্রাম-লাইমি পাড়া; গাজীপুর পানজুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সারি লালরম বম (১৫), পীং-লাল কিম বম, গ্রাম-লাইমি পাড়া; ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ছাত্র লাল লিয়ান নুয়াম বম (২৫), পীং-হাওলিয়ান বম, গ্রাম-লাইমি পাড়া; ঢাকা নটরডেম কলেজের ছাত্র রৌজালিয়ান বম (১৭), পীং-ভানরৌ, গ্রাম-লাইমি পাড়া; ঢাকা সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্র টমাস লালরাম তাং বম (১৭), পীং-লাল রিন সাং বম, গ্রাম-বালাঘাটা নামে ৬ জন বম ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করে। পরে রাত ৯:৪০টার দিকে এএসইউ বান্দরবান ইউনিটের প্রধান লেঃ কর্নেল মোঃ ফাহাদ ফয়সাল রেইচা চেকপোস্টে এসে আটককৃতদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর উক্ত ৬ ছাত্রকে বান্দরবান সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন (১৪ এপ্রিল) আটককৃত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ছাত্র লাল লিয়ান নুয়াম বম-কে রেখে অন্যান্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ১৫ এপ্রিল, লাল লিয়ান নুয়াম বম এর পিতা ও লাইমি পাড়ার কার্বারি হাওলিয়ান বম বান্দরবান থানায় দেখা করতে গেলে সাথে সাথে পুলিশ কার্বারিকে আটক করে এবং তার ছেলেকে ছেড়ে দেয়।
এর পূর্বে গত ১২ এপ্রিল, যৌথবাহিনী কর্তৃক রুমা উপজেলার জাইয়ন পাড়া থেকে কেএনএফ সন্দেহে তোয়ার লিয়ান বম ও ডেবিড বম নামে ২ জনকে এবং একইদিন বান্দরবান সদরের বালাঘাটা থেকে কেএনএফ সন্দেহে লমথার বম, গ্রাম-চিনলুং পাড়া ও রবার্ট বম, গ্রাম-হেবরন পাড়া নামে আরো ২ জনকে আটক করার খবর পাওয়া যায়।
গত ১১ এপ্রিল, যৌথবাহিনীর সদস্যরা রুমা উপজেলার ইডেন পাড়া থেকে লালরিন তোয়াং বম (২০), পীং-লালচেও, ভাননিয়াম থাং বম (৩৭), পীং-ঙুনদাং বম ও ভানলাল থাং বম (৪৫), পীং-লালমুয়ান বম নামে ৩ জনকে আটক করে। এছাড়া একইদিন নাজিরাট পাড়াতে গিয়ে যৌথবাহিনীর একটি দল ৩টি গ্রেনেড এবং ২০-২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বলে খবর পাওয়া যায়। জানা গেছে, তারা এসময় নাজিরাট পাড়ার কার্বারিকে ধরতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু যৌথবাহিনী আসার খবর পেলে পাড়াবাসীরা সবাই ভয়ে পাড়া ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।
গত ১০ই এপ্রিল, রাত ১০:৩০টা থেকে যৌথবাহিনীর একটি দল লাইরুনপি পাড়া ও ইডেন পাড়াকে ঘিরে রাখে এবং পাড়ার সমস্ত বম গ্রামবাসীদেরকে রুমার মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যায়। জানা গেছে, ওই গ্রামের পুরুষ ও যুবকরা ভয়ে কয়েকদিন আগেই গা ঢাকা দিয়ে আছে, এসব বম পাড়াগুলোতে এখন শুধু মহিলা আর শিশুরা থাকে।
অপরদিকে ঐদিনই (১০ই এপ্রিল), যৌথবাহিনী আর্থা পাড়া ও বাসতলাং পাড়ার প্রবেশমুখে বমদের কয়েকটি দোকানঘর পুড়িয়ে দেয় বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৯ এপ্রিল, যৌথবাহিনী রুমার বেথেল পাড়া থেকে কেএনএফ সন্দেহে প্যাস্টর লিয়ান সিয়াম বম (৫৫), পীং-থন আলহ বম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে ১০ এপ্রিল, যৌথবাহিনী ওই ব্যক্তিকে বান্দরবান থানায় সোপর্দ করে। একইদিন থানচি থেকে ভানলালবয় বম (৩৩), পীং-জিংতোয়ার বম, গ্রাম-শাহজাহান পাড়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে যৌথবাহিনী। তার বিরুদ্ধে থানচি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সহযোগী হিসেবে মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ২ এপ্রিল, রাত ৯ টার দিকে জাওরিন লুসাই (৪২) এর নেতৃত্বে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ১৩ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখায় ডাকাতি করে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। যদিও পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশাসন কর্তৃক উক্ত টাকা খোয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়। এর পরদিনই ৩ এপ্রিল, দুপুর ১২ টার দিকে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের আরো একটি সশস্ত্র দল বান্দরবান জেলারই থানচি উপজেলার পাশাপাশি দুটি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে ১৯ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে জনসমক্ষে কেএনএফ কর্তৃক পুলিশ ও বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যে অবস্থিত ব্যাংকে এধরনের সফল ডাকাতির ঘটনায় সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
উক্ত ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার পর সরকারের যৌথবাহিনী ৭ এপ্রিল থেকে কেএনএফের বিরুদ্ধে বান্দরবান এলাকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা দেয়। ৭ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে যৌথবাহিনী রুমা থেকে ৪৯ জনকে এবং থানচি থেকে ৫ জনকে সর্বমোট গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নিরীহ ও নিরপরাধ বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নারী, ২ জন অন্তঃসত্তা নারী, ৮ জন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্যরা সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, বাগান চাষী, মজুর ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদের প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট পেশা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকায় পড়াশোনা করছেন, যারা মাত্র কয়েকদিন পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের এখনও কাউওে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ২০০৮ সালে নাথান বম ও ভাংচুনলিয়াম বমের নেতৃত্বে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের ইন্ধনে কেএনডিও-এর নাম পরিবর্তন করে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নাম রেখে সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু করা হয়।