হিল ভয়েস, ২৬ মার্চ ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদন: আদিবাসী জুম্মদের গ্রাম উচ্ছেদ, ঘরবাড়ি ও বাগান-বাগিচা ধ্বংস, জুম চাষে বাধা প্রদান, সড়ক সংলগ্ন এলাকায় জুম্মদের ঘরবাড়ি নির্মাণে বাধা প্রদান করে সেনাবাহিনী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সড়ক ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তারই সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের অধীন ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটেলিয়ন কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী-বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজে জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ির সীমান্তবর্তী গাছবাগান পাড়া ও থুম পাড়া নামে দুইটি জুম্ম গ্রামের ২৩ পরিবার জুম্ম পরিবার উচ্ছেদের পাঁয়তারা ও ১৭ পরিবারকে জুম চাষে বাধা প্রদান করা।
গত ৯ মার্চ ২০২৪ সেনাবাহিনীর চাইচাল প্রকল্প ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন কবির ও সুবেদার প্রিয় রঞ্জন চাকমা গ্রামবাসীদের জানিয়ে দেয় যে, সেনাবাহিনী জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের গাছবাগান পাড়া ও বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের থুম পাড়ার মধ্যবর্তী পিলার চুগ ও লাঙেল টিলাতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করবে। তাই এই দুই গ্রামের গ্রামবাসীরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে এবং সেখানে ও আশেপাশের এলাকায় জুম কাটা যাবে না এবং ইতোমধ্যে কাটা জুমগুলোতে আগুন দেওয়া যাবে না।
এরপর গত ১১ মার্চ ২০২৪ সেনাবাহিনী এক্সকেভেটর দিয়ে পিলার চুগ ও লাঙেল টিলায় মাটি কাটা শুরু করে এবং বুদ্ধলীলা চাকমার কাটা জুম ধুলিসাৎ করে দেয়। এর পূর্বে গত ৬ মার্চ সেনাবাহিনী বীরসেন তঞ্চঙ্গ্যার কাটা জুম এক্সকেভেটর দিয়ে ধ্বংস করে দেয়। গত ১২ মার্চ ২০২৪ চাইচাল সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন কবির ও সুবেদার প্রিয় রঞ্জন চাকমা গাছবাগান পাড়া গ্রামের কার্বারি (গ্রাম প্রধান) থুদো চাকমার কাছ থেকে জুমের তালিকা চেয়েছেন। এসময় ক্যাপ্টেন কবির কার্বারি থুদো চাকমাকে বলেন, ‘তালিকা দিলেও পাড়া ছাড়তে হবে, না দিলেও পাড়া ছাড়তে হবে। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কারো কখনও লাভ হয়নি। অতএব, সরকারের বিরুদ্ধে না গিয়ে জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাও।’ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ পাওয়া এই গ্রামবাসীরা বর্তমানে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
গত ১৯ মার্চ ২০২৪ সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক দু’টি গ্রামে উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দক্ষিণ ফটকে দুই গ্রামবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গ্রামবাসীরা তাদের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন যে, তাদের প্রধান জীবিকা জুমচাষ। বিগত ২৪/২৫ বছরে তাদের অনেকেই কলাবাগান, আম-কাঠাল বাগান, ঝাড়–ফলের বাগান গড়ে তুলেছে। জুমে অনেকে ধানচাষের পাশাপাশি আদা, হলুদ, তিল, মরিচ ইত্যাদি চাষও করেছে। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হলে এবং উক্ত দুই গ্রাম উচ্ছেদ হলে, এর সাথে সাথে শুক্করছড়ি, চঙরাছড়ি, দুলুবাগান, বিলাইছড়ির মন্দিরাছড়া ও জুরাছড়ির মন্দিরাছড়া ইত্যাদি পাহাড়ি গ্রামগুলিও উচ্ছেদ হতে বাধ্য হবে।
উক্ত স্মারকলিপিতে গ্রাম ত্যাগ করার নির্দেশ প্রত্যাহার করা, গ্রাম সংলগ্ন পর্যটন স্থাপন না করা, জুম চাষে কোর বাধা প্রদান না করা এবং বাগান-বাগিচা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবি করা হয়। আশার দিক যে, উক্ত প্রতিবাদের পর সেনাবাহিনী জুম চাষ করা এবং কাটা জুমের আগুন দেয়া যাবে বলে গ্রামবাসীদেরকে অনুমতি দিয়েছে। তবে এখনো গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করেনি।
গত ৮ মার্চ ২০২৪ বিকাল আনুমানিক ৩ টায় হেলিকপ্টার যোগে এক উধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা চাইচাল সেনা ক্যাম্পে সফর করেন। এর পরের দিনই (৯ মার্চ) চাইচাল ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা গ্রামে গিয়ে গাছবাগান পাড়া ও থুম পাড়ার জুম্ম গ্রামবাসীদের এই মর্মে জানিয়ে দেন যে, সেনা প্রধানের নির্দেশ জুমচাষ বন্ধ করতে হবে এবং গাছবাগান পাড়ার ১২ পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ারমারের সীমান্তে ৩১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সীমান্ত সড়ক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত সড়কের সাথে রয়েছে অনেকগুলি সংযোগ সড়ক। তার মধ্যে অন্যতম সংযোগ সড়কগুলো হলো- আলিকদম-কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সংযোগ সড়ক; রাজস্থলী-বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি-বরকল-ঠেগামুখ সংযোগ সড়ক; সিজকছড়া থেকে সাজেক-শিলদা-বেতলিং সংযোগ সড়ক এবং বাঘাইছড়ির উগলছড়ি গ্রাম থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বসবাসকারী আদিবাসী জুম্ম জনগণ ব্যাপক বঞ্চনা, স্বভূমি থেকে উচ্ছেদ এবং ফলজ, বনজ ও ভূমি-সম্পত্তির দিক থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং এখনো ক্ষয়ক্ষতির মুখে রয়েছেন। উক্ত প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসহ স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনগণের মতামতকে যেমন উপেক্ষা করা হয়, তেমনি ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয় অধিবাসীদের মানবাধিকার ও ক্ষতিপূরণকে পদদলিত করা হয়।
এই সীমান্ত সড়ক ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কারণে এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) অন্তত ৭৭৬টি জুম্ম পরিবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৭৮টি পরিবার নিজের বাড়ি ও বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তার মধ্যে সর্বশেষ জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুই জুম্ম গ্রামের ২৩টি জুম্ম পরিবার সেনাবাহিনীর উচ্ছেদের পাঁয়তারা। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বাঘাইছড়ি এলাকার মাত্র ৫৬টি পরিবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শনের এক পর্যায়ে আংশিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকীরা কেউ ক্ষতিপূরণ পাননি। ক্ষতিপূরণ দাবি করলে সেনা কর্মকর্তারা ক্ষমতার জোরে বলে থাকেন, “দেশ আমার, মাটি আমার। তাই ক্ষতিপূরণ কেন দেবো?”
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মদের ভূমি বেদখলের অন্যতম দুটি হাতিয়ার হল ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন। নিরাপত্তার নামে যেমন যত্রতত্র সেনা ও বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়, তেমনি অপরদিকে উন্নয়নের নামেই সেনাবাহিনী ও বিজিবি ইচ্ছেমত ভূমি ও পাহাড় দখল করে বিলাসবহুল পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করে থাকে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সুযোগে সেনাবাহিনী ও বিজিবি ইচ্ছামাফিক ভূমি ও পাহাড় দখল করে ক্যাম্প সম্প্রসারণ এবং তাদের পর্যটন ব্যবসাকে অধিকতরভাবে সম্প্রসারণ করে চলেছে। ইতোমধ্যে বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের কমলাক এলাকায় ৬ পরিবারের ভূমি বেদখল করে একটি বিজিবি ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়।
অপরদিকে জুম্মদের ভূমি বেদখল করে সিজকছড়া মুখ নামক স্থানে একটি ও উদয়পুর এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া সিজকছড়া থেকে উদয়পুর পর্যন্ত ৫টি সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের ঘিলাতুলি গ্রামে জুম্ম ফলজ বাগান দখল করে একটি বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ করার সময় জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের চাইচাল সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
চাইচাল সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার সাইফুল কর্তৃক সীমান্ত সড়ক ও আশেপাশের ভূমি বেদখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় গন্ডাছড়া মৌজার হেডম্যান সংঙুর পাংখোয়া ও পার্শ্ববর্তী রেংখ্যং চংড়াছড়ি মৌজার হেডম্যান বলভদ্র চাকমার কাছ থেকে এই মর্মে জোরপূর্বক দস্তখত আদায় করে নেয়া হচ্ছে যে, এসব ভূমি ও পাহাড় হচ্ছে খাস ভূমি। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনা মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন খাস জমি নেই। সেনাবাহিনী যেসব ভূমি ও পাহাড় খাস ভূমি হিসেবে চিহ্নিত করছে সেগুলো আদিবাসী জুম্মদের সামাজিক মালিকানাধীন মৌজা ভূমি ও জুম ভূমি।
এছাড়া সীমান্ত সড়ক ও সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের সময় সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সড়কের আশেপাশে আকর্ষণীয় বহু জায়গা বাছাই করে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে সেখানে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বলে উল্লেখ করে দখল করে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্বিচারে সীমান্ত ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে জুম্ম জনগণ কেবলমাত্র উচ্ছেদ, তাদের বাগান-বাগিচা ধ্বংস, জুম চাষে বাধা ও সড়ক সংলগ্ন এলাকা ঘরবাড়ি নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে তাই নয়, এলাকায় বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। সড়ক নির্মাণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছড়া-ঝিড়ি থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ফলে পানির উৎস ধ্বংস হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকায় পানীয় জলের সংকটও দেখা দিচ্ছে।
এছাড়াও সেনাবাহিনী কর্তৃক সীমান্ত সড়কের পার্শ্ববর্তী বহু জায়গায় জুম্মদের স্থানীয় নামের বিপরীতে বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি হল- বাঘাইছড়ির সার্বোয়াতলী এলাকার ভিজে হিজিং নামক স্থানের জায়গায় ‘শাহীন টিলা’, সাজেক এলাকার কিংকরপাড়া স্থানের জায়গায় ‘মাহমুদ টিলা’, সাজেক এলাকার দুরবাছড়া স্থানের জায়গায় ‘এনামুল টিলা’, সাজেক এলাকার বটতলা নামক স্থানের জায়গায় ‘সজীব টিলা’, সাজেক এলাকার কিংকরপাড়ার স্থানে আরো একটি ‘শামীম টিলা’, সাজেক এলাকার ভুইয়োছড়া নামক স্থানের জায়গায় ‘সাইদুর টিলা’, সাজেক এলাকার কিংকরপাড়ায় আরো একটি ‘ইসমাইল টিলা (বিওপি পোস্ট)’, সাজেক এলাকার ভুইয়োছড়া নামক জায়গায় আরো একটি ‘আল-আমিন টিলা’ ইত্যাদি।
এটা জুম্মদের উপর চরম ইসলামী সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন এবং জুম্মদের ঐতিহ্য ও নাম-নিশানা নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে বিবেচনা করা যায়। এটা নিশ্চিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম (উপজাতি) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের যে অঙ্গীকার ও বিধান রয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার ও সেনাবাহিনী তা সম্পূর্ণভাবে বরখেলাপ করছে এবং জুম্ম অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যের উপর গভীর আঘাত সৃষ্টি করে চলেছে বলে বিবেচনা করা যায়।
স্থানীয় জুম্মদের আশংকা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায়, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় এবং চুক্তির আলোকে স্থাপিত বিশেষ শাসনব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ায়, সর্বোপরি সেনাবাহিনী ও সরকারের চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম বিদ্বেষী ভূমিকার কারণে এই সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প জুম্মদের বর্তমান ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও সুদুরপ্রসারী আরও অনেক ক্ষতি ডেকে আনবে। এতে বহিরাগত অনুপ্রবেশ, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, বহিরাগত পুঁজির আধিপত্য, ভূমি বেদখল ও স্থানীয়দের ভূমি বেহাত হওয়ার প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে, যাতে জুম্মদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্বশাসন নিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।