হিল ভয়েস, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের সেটেলার বাঙালিরা পার্শ্ববর্তী জুম্মদের ধান্যজমি বেদখলের ষড়যন্ত্র করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সেটেলার বাঙালিদের একটি দল মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের রেইংখ্যং শাখা বনবিহারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জ্ঞান রঞ্জন তালুকদারের রেকর্ডীয় ৫-৬ কানি (প্রায় ২.০০ একর) পরিমাণ ধান্য জমিতে ধান রোপণের চেষ্টা করে।
কিছুদিন আগে জ্ঞান রঞ্জন তালুকদারের লোকজন উক্ত জমিতে ধান লাগাতে গেলে মোহাম্মদ মনির হোসেনের নেতৃত্বে একদল সেটেলার বাঙালি বাধা প্রদান করে। কিন্তু এর দুইদিন পর সেটেলার বাঙালিরা মেম্বার জ্ঞান রঞ্জন তালুকদার ও আশেপাশের জুম্মদের জমিতে ধান লাগানোর চেষ্টা করে। তখন জ্ঞান রঞ্জন তালুকদারসহ জমির মালিকরা এসে সেটেলার বাঙালিদের ধানা লাগাতে বাধা প্রদান করে।
জানা গেছে, গত বছরও (২০২৩ সালে) সেটেলার বাঙালিরা বেদখলের উদ্দেশ্যে উক্ত জায়গায় লাল পতাকা স্থাপন করে। তবে পরে স্থানীয় ৩২ বীর দীঘলছড়ি সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গায় ধান না লাগাতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও সেটেলার বাঙালিরা জমিগুলো বেদখল ও অবৈধভাবে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে জোরজবরদস্তি করে ধান লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়া আরো জানা গেছে, সেটেলার বাঙালিরা ষড়যন্ত্র করে নামমাত্র টাকা দিয়ে এবং হুমকিধামকি দিয়ে ১২১নং কেংড়াছড়ি মৌজার হেডম্যান সমতোষ চাকমার মৌজাধীন বিভিন্ন জায়গা বেদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরদিকে, মাত্র কয়েকদিন আগে সেটেলার বাঙালিদের একটি দল ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে রাম চাকমা নামে এক জুম্ম গ্রামবাসীর ধান্য জমিতে ধান লাগাতে যায়। ধান লাগানোর সময় কুতুবদিয়া মৌজার হেডম্যান সাধন বিকাশ চাকমাসহ প্রতিবেশী জুম্মরা বাধা দিলে পরে সেটেলার বাঙালিরা সেখান থেকে চলে যায়।